Debanjan Bodyguard Tussle: 'রাজ্যপালের সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ, দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর', আক্রমণ তৃণমূলের
আজ সাংবাদিক বৈঠক করে সুখেন্দুশেখর রায় (Sukhendu Sekhar Roy) বলেন, "প্রতারক দেবাঞ্জন দেবের রক্ষী রাজভবনে কেন? ঘনিষ্ঠতার গুরুত্ব আপনারা বুঝতেই পারছেন। তদন্তকারীদের গোচরে বিষয়টি আনছি, আসল তথ্য আসুক। রাজ্যপালের (Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে প্রতারকের দেহরক্ষীর যোগ থাকলে তা দেশের পক্ষে ভয়ঙ্কর। আসল তথ্য সামনে আসুক।"'
এই নিয়ে সিপিএম (CPM) নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, "কলকাতার একটি নামী দৈনিকের প্রথম পাতায় দেবাঞ্জনের ছবি বেরিয়েছিল, সেখানে উল্লেখ ছিল তিনি কলকাতা কর্পোরশনের ডেপুটি কমিশনার। কেউ টের পেল না। কেউ খবর পেল না। জাল ভ্যাকসিনকাণ্ডে ধরা পড়ে যাওয়ার পর এখন শাসক দলের মনে পড়েছে কী করে সে প্রভাবশালী ব্যক্তি হল বা ভ্যাকসিনকাণ্ডে যুক্ত হল। এই নিয়ে রাজ্য সরকার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই নিয়ে সুখেন্দুবাবুর যদি হঠাৎ মনে হয় রাজ্যপালের ঘনিষ্ঠবৃত্ত আর দেবাঞ্জনের ঘনিষ্ঠবৃত্ত এক তাহলে যাঁরা তদন্ত করছেন তাঁদের কাছে পাঠান। না হলে লোকে হাসাহাসি করবে। লোকে মনে করবে পছন্দ মতো রাজনীতির খেলা খেলার জন্য দেবাঞ্জনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।"
এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, "মানুষকে বিজেপি (BJP) বা অন্য দল ছাড়তে হচ্ছে। কারণ তাঁদের সুরক্ষা নেই। সারা দেশ এবং বিদেশেও চর্চার বিষয়। এই সরকারের উপর মানুষের বিশ্বাস চলে গেছে। প্রশাসনের উপর বিশ্বাস চলে গেছে। তাই বিভিন্ন কমিশনে অভিযোগ জানাতে হচ্ছে। বারবার বিভিন্ন কমিশন পশ্চিমবাংলায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আসছেন। মিথ্যে কথা বলে নিজের পিঠ বাঁচানো যাবে না। প্রত্যেক জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী, আমলাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনকে দেখা গেছে। তিনি কী করতেন তাও জানা গেছে। বিড়াল ঝুলি থেকে বেরিয়ে গেছে। তাই এখন বিজেপিকে (BJP) টানা হচ্ছে। রাজ্যপালকে টানা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ খুব চিন্তায় পড়েছেন।"