Zodiac Traits: সম্পর্কে ঠকে যাওয়ার ভয় তাড়া করে এই রাশির জাতকদের! কেন?
Zodiac Facts: যে কোনও মানুষের যেমন ভাল ও খারাপ দুটো গুণই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকে। তার সামগ্রিক প্রভাব পড়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।
কলকাতা: যে কোনও সম্পর্কেই একাধিক ওঠানামা থাকে। সম্পর্ক কেমন হবে, কী ভাবে সেটা এগোবে? কোথায় সমস্যা আসতে পারে, কোন জায়গায় সুবিধা মিলবে- এসবের অনেকটাই কিন্তু নির্ভর করে সেই মানুষ দুটোর উপর। আরও ভাল করে বলতে গেলে সেই ব্যক্তি কোন রাশির জাতক, তার উপর। কারণ রাশি ভেদে এক এক ব্যক্তির এক একরকম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য (Zodiac Traits) থাকে। যে কোনও মানুষের যেমন ভাল ও খারাপ দুটো গুণই মিলিয়ে মিশিয়ে থাকে। তার সামগ্রিক প্রভাব পড়ে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও।
কোনও কোনও রাশির জাতকের ক্ষেত্রে বিশ্বাস করা নিয়ে সমস্যা হয়। সহজেই সন্দেহ তৈরি হয় মনে। কখনও অকারণেই কিছু কিছু সমস্যা তৈরি হয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ওই রাশির জাতকেরা। যার ফলে ভাল সম্পর্কেও নানা ফাটল তৈরি হয়, সমস্যা আসে। বিশেষ করে চার রাশির জাতকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হয়।
কর্কট:
নিজের আবেগকে নিদের মধ্যে চেপে রাখার সহজাত প্রবৃত্তি রয়েছে কর্কট রাশির জাতকদের। সঙ্গীর যাতে সমস্যা না হয় তা ভেবে নিজের ভাল বা খারাপ লাগা বিষয়গুলি চেপে যান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এতে ক্ষতিই হয়। যখনই বিষয়গুলি নিয়ে খোলাখুলি কথা হয় না, তখনই অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তাতে এরা নিজের মনের মধ্য়েই অযৌক্তিক ব্যাপার নিয়ে সন্দেহ করতে পারেন।
বৃশ্চিক:
এই রাশির জাতকরা প্যাশনেট হন। অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য হন। কিন্তু সহজেই কাউকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করতে পারেন না। বন্ধুত্ব হোক বা যে কোনও সম্পর্ক-চট করে বিশ্বাস করতে পারেন না এরা। যাঁর প্রতি এরা অনুরক্ত হন, তাঁরাও ঠিক ততটাই অনুরক্ত কিনা সেই প্রশ্ন সবসময় এদের মাথায় ঘোরে। চোখ বুজে বিশ্বাস করার বিষয়টা বৃশ্চিক রাশির জাতকদের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ।
ধনু:
এই রাশির জাতকদের একাধিক ভাল গুণ রয়েছে। পাশাপাশি খারাপ গুণগুলোর মধ্যে একটি হল নিরাপত্তাহীনতা। আপাতদৃষ্টিতে সঙ্গী হিসেবে এই রাশিক জাতকরা বুঝদার এবং ক্ষমাশীল হয়ে থাকেন। কিন্তু তারপরেও অনেকসময় সঙ্গীর একাধিক বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখেন এরা। নিরাপত্তহীনতার কারণেই সন্দেহ প্রকাশ করে থাকেন এরা।
মকর:
সঙ্গীদের খারাপ গুণগুলো আগে চোখে পড়ে এই রাশির জাতকদের। পাশাপাশি কোনও সম্পর্ক থেকে অত্যধিক চাহিদা থাকে এদের। মাঝেমধ্যে যা ট্রাস্ট ইস্যু বা বিশ্বাসের অভাব তৈরি করতে পারে। সঙ্গীর সবকিছুতে অতিরিক্ত নজর রাখতে গিয়েই দুজনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে স্বাভাবিকভাবেই সম্পর্কে বাজেভাবে প্রভাব ফেলতে পারে।
যে কোনও সম্পর্কেরই ভিত্তি হল বিশ্বাস। অনেকসময়েই বিভিন্ন কারণে বিশ্বাসে ধাক্কা লাগতে পারে, প্রশ্ন উঠতে পারে। তা নিয়ে ঠান্ডামাথায় আলোচনা করাই শ্রেয়। সঙ্গীর উপর বিশ্বাস থাকলে সম্পর্ক আরও আটোসাঁটো হবে। অনেকসময়েই পুরনো তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্তমান সম্পর্কে প্রভাব ফেলে। সেটাও সচেতনভাবেই এড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সাহায্যও নেওয়া যায়।
ডিসক্লেইমার: এখানে প্রদত্ত তথ্য শুধুমাত্র অনুমান এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এবিপি লাইভ কোনও ধরনের বিশ্বাস, তথ্য সমর্থন করে না। কোন তথ্য বা অনুমান প্রয়োগ করার আগে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সাথে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: হাতেখড়ির দিন থেকে শেষ বয়সে অবসরযাপন-সঙ্গী থাকুক ভাল বই