Car News: হুন্ডাই নাকি মারুতি ফ্রঙ্কস ! টাটার অ্যালট্রোজ রেসারের সঙ্গে পাল্লা দেবে কে ?
Car Review: এই টাটা অ্যালট্রোজের মডেল হুন্ডাই আই২০ এন লাইন এবং মারুতি ফ্রঙ্কসের (Maruti Fronx) থেকে কোথায় আলাদা ? কুপ স্টাইলের এসইউভির সঙ্গে কি টেক্কা দিতে পারবে টাটা অ্যাল্ট্রোজ রেসার ?
সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়: ভারতের বাজারে আবার ফিরে এসেছে এই হ্যাচব্যাক মডেলগুলি। আর গাড়িপ্রেমীদের মধ্যে এখন এই নিয়েই কথা চলছে নিরন্তর। টিয়াগো জেটিপি মডেলের প্রডাকশনও ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। নেক্সন প্লাসের মত একই ইঞ্জিন (Tata Altroz Racer) থাকলেও এই টাটা অ্যালট্রোজ রেসারের মডেলে এখন অনেক বেশি শক্তিশালী ইঞ্জিন থাকছে। এমনকী ফিচার্সও বেশি মাত্রায় জুড়ে গিয়েছে। তবে এই টাটা অ্যালট্রোজের মডেল হুন্ডাই আই২০ এন লাইন (Hyundai i20 N Line) এবং মারুতি ফ্রঙ্কসের (Maruti Fronx) থেকে কোথায় আলাদা ? কুপ স্টাইলের এসইউভির সঙ্গে কি টেক্কা দিতে পারবে টাটা অ্যাল্ট্রোজ রেসার ?
ডিজাইনের কথা বলতে গেলে এই তিনটি গাড়িই খুবই সুন্দর দেখতে প্রথম সারির গাড়ি বলা চলে। এমনকী এই অ্যালট্রোজ রেসারে রয়েছে একটা স্পোর্টিয়ার লুক, ডুয়াল টোন কালার স্কিম, হুডের মধ্যে স্ট্রাইপ, সামনের অর্ধেক অংশে কমলা বিটের কনট্রাস্টে রাখা হয়েছে কালো রঙ। এমনকী এখানে কালো অ্যালয়ও রয়েছে গাড়িতে। অন্যদিকে হুন্ডাইয়ের আই২০ এন লাইনের কথা বলতে গেলে এই মডেলেও একটি স্পোর্টিয়ার লুক আছে। চিন প্লাস স্পোর্টিয়ার এলিমেন্ট থাকছে গাড়িতে আর এর সঙ্গে এক্সহস্ট লাগানো আছে। এখানে দুটি গাড়িই দেখতে অ্যাগ্রেসিভ লুকের। মারুতির ফ্রঙ্কস আসলে একটি কুপের মত দেখতে এসইউভি। স্লোপিং রিয়ার স্টাইলিং রাখা আছে এই গাড়িতে। এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্সও অনেক ভাল অন্য দুটি মডেলের তুলনায়।
গাড়ির ইন্টিরিয়রেও একইভাবে স্পোর্টিয়ার ট্রিটমেন্ট করা হয়েছে। কনট্রাস্ট স্টিচিং ব্ল্যাক লুক রাখা হয়েছে গাড়ির ভিতরেও। এন লাইনে থাকছে মেটাল প্যাডেল এবং স্পোর্টিয়ার স্টিয়ারিং। হুন্ডাইয়ের আই২০ হোক কিংবা টাটার অ্যালট্রোজ রেসার, দুটি গাড়িতেই থাকছে ১০.২৫ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্লাস্টার, ভেন্টিলেটেড সিট, ভয়েস অ্যাসিস্টেড সানরুফ, প্রিমিয়াম অডিয়ো সিস্টেম। আই২০ এন লাইন মডেলে একটি বৈদ্যুতিন সানরুফ থাকছে, থাকছে বোসের অডিয়ো। ফ্রঙ্কসে রয়েছে ৯ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন, হেডস আপ ডিস্প্লে, ৩৬০ ডিগ্রির ক্যামেরা, স্পোর্টি পেডালস, সানরুফ। আর এই তিনটি গাড়ির ক্ষেত্রেই সেফটি ফিচার্সগুলি রয়েছে দুর্দান্ত। তিনটিতেই আছে স্ট্যান্ডার্ড ৬টি এয়ারব্যাগ।
পাওয়ারট্রেনের কথা বলতে গেলে টাটার অ্যালট্রোজ রেসারে থাকছে ১.২ লিটারের টার্বো পেট্রোল, ১২০ বিএইচপি এবং ১৭০ এনএমের ক্ষমতা সম্পন্ন ৬ স্পিডের ম্যানুয়াল। অন্যদিকে আই২০ মডেলে ১.০ লিটারের টার্বো পেট্রোল থাকছে। আর সবশেষে মারুতি ফ্রঙ্কসেও হুন্ডাইয়ের গাড়ির মত ১.০ লিটারের টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন থাকছে যাতে ৫ স্পিডের ম্যানুয়াল ৬ স্পিডের টর্ক কনভার্টর অটোমেটিক প্যাডল শিফটার থাকবে।
অ্যালট্রোজ রেসারের দাম যেখানে শুরু হচ্ছে ৯.৪৯ লাখ টাকা থেকে, সেখানে আই ২০ মডেলের দাম এন্ট্রি লেভেলে ১০ লাখ টাকা। আর মারুতি ফ্রঙ্কসের দাম শুরু হচ্ছে ৯.৭ লাখ টাকা থেকে।
আরও পড়ুন: Best Selling Cars: বাজারে এসেই তুমুল জনপ্রিয়, কী বিশেষত্ব মারুতি আর মহিন্দ্রার এই দুই মডেলের ?