Electric Vehicle Safety: EV পছন্দ? ভরা বৃষ্টিতেও চিন্তা নেই! সমস্যা হবে না চার্জিং-এ
Electric Vehicle Charging: অনেকেই আশঙ্কা করেন যে বর্ষাকালে EV-এর তুলনায় পেট্রোল-ডিজেলচালিত গাড়ি বেশি সুবিধাজনক। আদৌও কি তাই?
কলকাতা: একদিকে জ্বালানির খরচ নিয়ে চিন্তা, অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের জন্য উদ্বেগ। এই দুটিই একসঙ্গে সরাতে ভরসা বৈদ্যুতিন গাড়ি বা ইলেকট্রিক কার। কিন্তু বর্ষাকাল এলেই বৈদ্যুতিন গাড়ি নিয়ে চিন্তা হয়। যেহেতু ব্যাটারিচালিত গাড়ি, বর্ষায় কি চালানো যাবে? এই প্রশ্নই বারবার উঁকি মেরে যায় অনেকের মনে। অনেকেই আশঙ্কা করেন যে বর্ষাকালে EV-এর তুলনায় পেট্রোল-ডিজেলচালিত গাড়ি বেশি সুবিধাজনক।
সবকটি বৈদ্যুতিন গাড়িতেই (Electric Vehicle) Ingress Protection বা IP rating System থাকে। এর অর্থ EV-এর ব্য়াটারি ধুলো এবং জল থেকে সুরক্ষিত থাকবে। যে কোনও গাড়ির ক্ষেত্রেই জল জমে থাকা রাস্তায়, জলের মধ্যে চালাতে নিষেধ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ কোনও গাড়িতে যদি IP67 লেখা থাকে। তাহলে গাড়িটি ৩০ মিনিটের জন্য ১ মিটার জলের নীচে ডুবে থাকতে পারবে। ফলে বৃষ্টির সময় বৈদ্যুতিন গাড়ি চালাতে কোনও সমস্যা হয় না। এছাড়াও ব্যাটারি নিরাপদে রাখতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলে গাড়িতে জল ঢুকলেও ব্যাটারি পর্যন্ত পৌঁছনো সহজ নয়। সেই হিসেবে বর্ষাকালে EV- গাড়ি চালানো বিপজ্জনক নয়।
গাড়ি চার্জ দেওয়ার সময়:
বৈদ্যুতিন গাড়িতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর চার্জ দিতে হয়। অনেকের মনে এই প্রশ্ন থাকে যে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চার্জ (Electric Vehicle Charging) দেওয়া যাবে কিনা। এখানেও কোনও সমস্যা নেই। চার্জিং কেবল থেকে গাড়ির চার্জিং পয়েন্ট- গোটাটাই একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়। চার্জিং কেবল-সহ বাকি সব যন্ত্রাংশ ওয়াটারপ্রুফ। ফলে চার্জের সময় বিপদ ঘটনার ঝুঁকি সাধারণত নেই। বৃষ্টির মধ্যেও চার্জ দেওয়া যায় বৈদ্যুতিন গাড়িটিতে। অথবা চার্জ দেওয়ার সময় বৃষ্টি চলে এলেও সমস্যা হবে না।
গাড়ি তৈরির সময়েই বেশ কিছু নিরাপত্তা সংক্রান্ত মাপকাঠি মেনে চলে সংস্থাগুলি। যাতে ধুলো, জল এবং বাইরের কোনও বস্তু ব্যাটারি বা গাড়ির কোনও যন্ত্রাংশে না ঢুকতে পারে। গাড়িতে একটি সেন্সরও থাকে। চার্জ দেওয়ার সময় সংযোগ সুরক্ষিত থাকলে, কোনও সমস্যা না থাকলে তবেই চার্জ শুরু হয়। কোনওরকম সমস্যা টের পেলেই ওই সেন্সর চার্জ বন্ধ করে দেয়। শুধু দেখে নেওয়া প্রয়োজন যে চার্জ দেওয়ার সময়, চার্জিং কেবল এবং গাড়ির চার্জিং সকেট যেন শুকনো থাকে।
সাধারণ পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির ক্ষেত্রে বাজারে বিক্রির আগে যেমন দফায় দফায় পরীক্ষা করা হয়, EV-এর ক্ষেত্রেও ঠিক সেভাবেই সতর্ক হয়েই বাজারে নামায় কোনও সংস্থা।
আরও পড়ুন: জীবনজুড়ে জঙ্গল, কলমজুড়ে প্রেম! টপ্পায় বুঁদ করতেন 'ঋজুদা' বুদ্ধদেব