Aadhar Card : ভোটার তালিকায় নাম রাখতে ১২ নম্বর পরিচয়পত্র আধার কার্ড, বাকি ১১টি নথি কী কী ?
Identity Card : পরবর্তীকালে আধার কার্ড ভোটার তালিকায় নাম তোলার ১২ নম্বর পরিচয়পত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। জানেন, বাকি ১১টা কী ।

Identity Card : সামনেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই ভোটার তালিকা সংশোধন (Voter List Correction) নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। শাসক-বিরোধী তরজায় মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) পর্যন্ত। পরবর্তীকালে আধার কার্ড ভোটার তালিকায় নাম তোলার ১২ নম্বর পরিচয়পত্রের স্বীকৃতি পেয়েছে। জানেন, বাকি ১১টা কী ।
কী কারণে শীর্ষ আদালতে মামলা
বিহারে আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদার হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকা আপডেট ও আরও বেশি সংখ্যক লোককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার জন্য কাজ করছে। এই পর্বে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন(SIR) 2025 এর অধীনে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য স্বস্তি এনেছে। এখনও পর্যন্ত ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করার জন্য কেবল কয়েকটি নির্বাচিত নথি বৈধ ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক আদেশের পরে, আধার কার্ডও বৈধ পরিচয়পত্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আধার কার্ড এবার ...
এটি একটি বড় পরিবর্তন, কারণ দেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিকের একটি আধার কার্ড রয়েছে। এর ব্যপ্তি গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সহজ হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে আধার কার্ড কেবল একটি পরিচয়পত্র হিসাবে বিবেচিত হবে, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসাবে নয়। অর্থাৎ, কেবল একটি আধার কার্ড থাকার অর্থ এই নয় যে- আপনি ভারতের নাগরিক, তবে এটি আপনার পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট হবে। এমন পরিস্থিতিতে, আসুন জেনে নিই সেই ১২টি নথি কী কী, যেগুলির যেকোনও একটি দিয়ে আপনি ভোটার তালিকায় আপনার নাম যুক্ত করতে পারবেন।
এখন এই ১২টি পরিচয়পত্র ভোটার তালিকায় নাম যুক্ত করার জন্য বৈধ।
১. জন্মের শংসাপত্র: পৌর কর্পোরেশন, পঞ্চায়েত বা যেকোনও স্বীকৃত সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক জারি করা উচিত।
২. পাসপোর্ট: ভারত সরকারের বৈধ পাসপোর্ট পরিচয়পত্র হিসেবে প্রয়োজন।
৩. ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট বা অন্য কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র: একটি স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক জারি করা।
৪. সরকারি চাকরির পরিচয়পত্র বা পেনশন অর্ডার : সরকারি কর্মচারী বা পেনশনভোগীদের জন্য বৈধ নথি।
৫. স্থায়ী বসবাসের শংসাপত্র: জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারি করা শংসাপত্র।
৬. বন অধিকার শংসাপত্র বা ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট : এটি উপজাতি বা বনাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি।
৭. কাস্ট সার্টিফিকেট : সমাজকল্যাণ বিভাগ বা উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত শংসাপত্র
৮. এনআরসি নথি: ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেন্সের পাওয়া প্রাপ্ত নথি
৯. ফ্য়ামিলি রেজিস্টার : নগর পালিকা বা গ্রাম পঞ্চায়েতের মতো স্থানীয় সংস্থা কর্তৃক প্রদত্ত
১০. জমি বা বাড়ি বরাদ্দের শংসাপত্র: জমি বা বাড়ির বিবরণ সম্বলিত যেকোনো সরকারি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত শংসাপত্র
১১. ১৯৮৭ সালের আগে জারি করা যেকোনো সরকারি বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পরিচয়পত্র: ১৯৮৭ সালের আগে সরকারি বিভাগ বা পাবলিক সেক্টর আন্ডারটেকিং (PSU) তে নিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছে থাকা পরিচয়পত্র
১২. আধার কার্ড: সুপ্রিম কোর্টের আদেশের পর, এটি এখন পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবেও স্বীকৃত হয়েছে।






















