Gold Loan: গোল্ড লোন নিয়ে আরও কড়াকড়ি, কী পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ?
Gold Loan Fraud: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছে যে সোনার ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কর্মীরা সিস্টেমের সঙ্গে এমন কিছু কারসাজি করছে যা প্রতারণার সামিল। কী জানাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ?
RBI Guideline: গোল্ড লোনের টার্গেট পূরণ করার জন্য বেশ কিছু জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে এবার কড়া পদক্ষেপ করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সোনার ঋণের ক্ষেত্রে প্রতারণার বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবার বেশ কিছু ব্যাঙ্ককে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। ব্যাঙ্কগুলিকে সোনার ঋণের (Gold Loan Fraud) রিপোর্ট হওয়া জালিয়াতি, পোর্টফোলিওতে ঋণ খেলাপী এবং সেই অর্থ উদ্ধারের প্রচেষ্টার বিষয়ে সমস্ত তথ্য এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে জমা করতে হবে সমস্ত ব্যাঙ্ককে।
সোনার ঋণে প্রতারণা
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছে যে সোনার ঋণের (Gold Loan Fraud) ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের কর্মীরা সিস্টেমের সঙ্গে এমন কিছু কারসাজি করছে যা প্রতারণার সামিল। কিছু কিছু ঘটনা ইতিমধ্যেই নজরে এসেছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের। কিছুদিন আগেই দুটি সরকারি ব্যাঙ্কে এমনই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে কর্মীরা সোনার ঋণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ভুলভাবে তথ্য জমা করেছেন এবং সিস্টেমে কারসাজি করে প্রতারণা করেছেন। আর তাই এবার সমস্ত ব্যাঙ্কের কাছে সোনার ঋণের সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
অন্যান্য নির্দেশ
শুধু সোনার ঋণের (Gold Loan Fraud) তথ্য চাওয়া নয়, আরও বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। ঋণ দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এর মাধ্যমে দেখে নিতে চাইছে যে সেই সমস্ত ব্যাঙ্কগুলির ঋণদানের প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নির্ধারিত মাপকাঠিগুলি পূরণ করছে কিনা।
যে কারণে তথ্য চাওয়া হয়েছে
একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়েছে যে সোনার ঋণ সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিজে থেকেই পরীক্ষা করতে পারে। ৫ কোটি টাকার বেশি সোনার ঋণের ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল রিপোজিটরি অফ ইনফরমেশন অফ লার্জ ক্রেডিট থেকেই তথ্য পাওয়া যাবে আর ক্ষুদ্র ঋণের (Gold Loan Fraud) ক্ষেত্রে সিবিলের মত ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোর কাছ থেকেই পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে। আর এই কারণেই ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। কারণ এমন বেশ কিছু ঋণের দৃষ্টান্ত রিপোজিটরি বা সিবিলের কাছে খুঁজে পায়নি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
কিছু কিছু ব্যাঙ্কে কর্মীরা কোনওরকম কো-ল্যাটারাল ছাড়াই ঋণগ্রহীতাকে সোনার ঋণ মঞ্জুর করে দিয়েছেন। অর্থাৎ ঋণ সোনা ছাড়াই মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে। কিছু সময়ের পরে পুরো পেমেন্টই করা হয়েছে ঋণগ্রহীতার পক্ষ থেকে। এসব ক্ষেত্রে কর্মীরা ঋণের (Gold Loan Fraud) প্রসেসিং ফি নিজে থেকেই ব্যাঙ্কের এক্সপেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে দিয়ে দেন। সুদের টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সিস্টেমে বেশ কিছু কারসাজি ধরা পড়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।