Adani Group: রিলায়েন্সের পাওয়ার প্ল্যান্ট কিনতে চলেছেন আদানি ! ৩ হাজার কোটির চুক্তির সম্ভাবনা
Adani Power: সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে আদানি পাওয়ার এখন নাগপুরে অবস্থিত ৬০০ মেগাওয়াটের রিলায়েন্স পাওয়ারের বুটিবোরী থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে।
Reliance Power: গৌতম আদানির নেতৃত্বে আদানি পাওয়ার এবার রিলায়েন্স পাওয়ারের (Reliance Power Plant) একটি বড় কারখানা কিনে নিতে চলেছে। জানা গিয়েছে আদানি গ্রুপ রিলায়েন্স পাওয়ারের এই কারখানা কেনার জন্য ২৪০০ থেকে ৩০০০ কোটি টাকা খরচ করতে পারে। সম্প্রতি আদানি গ্রুপ (Adani Group) সিএফএম অ্যাসেট রিকনস্ট্রাকশন কোম্পানির সঙ্গে এই চুক্তির ব্যাপারে কথা বলছে বলেই জানা গিয়েছে।
৬০০ মেগাওয়াটের কারখানা এটি
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে আদানি পাওয়ার এখন নাগপুরে অবস্থিত রিলায়েন্স পাওয়ারের বুটিবোরী থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট কিনে নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে। ৬০০ মেগাওয়াটের এই পাওয়ার প্রজেক্ট এখনও অনিল অম্বানির রিলায়েন্স পাওয়ারের অধীনে রয়েছে। আদানি গ্রুপ জানা গিয়েছে এই কারখানা কেনার জন্য প্রতি মেগাওয়াটে ৪-৫ কোটি টাকা দিতে রাজি আছে। এখানে বুটিবোরীতে দুটি কারখানা রয়েছে। এর আগে এই কারখানাটির বাজার মূল্য ছিল ৬ হাজার কোটি টাকা। তবে এই কারখানায় উৎপাদন বন্ধ হওয়ার পর থেকে এই সংস্থার বাজার মূল্য অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আদানি গ্রুপ এই কারখানা কিনে নিতে চায় বলেই জানিয়েছে সংস্থা।
অন্য এই সংস্থাও কেনার কথা ভাবছে
মূলত বিদর্ভ ইন্ডাস্ট্রিজ পাওয়ারের পরিচালনায় চলে এই বুটিবোরী থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট। এই বিদর্ভ ইন্ডাস্ট্রিজ রিলায়েন্স পাওয়ারের একটি সহায়ক সংস্থা। রিলায়েন্স পাওয়ার সংস্থায় আর্থিক সমস্যা দেখা দেওয়ার পর থেকেই এই বিদর্ভ ইন্ডাস্ট্রিজের কাজও বন্ধ হয়ে যায়। এখন শোনা যাচ্ছে আদানি গ্রুপের পাশাপাশি সজ্জন জিন্দালের জেএসডব্লিউ এনার্জি এই বুটিবোরী থার্মাল পাওয়ার কিনতে আগ্রহী হয়েছেন। কিন্তু এর অতিরিক্ত বেশি বাজারমূল্য এবং পরিচালনাগত সমস্যার কারণে তারা পিছিয়ে এসেছেন।
ঋণখেলাপিরা সংস্থার বিরুদ্ধে দেউলিয়ার ঘোষণার দাবি তুলেছে
এর আগে রিলায়েন্স পাওয়ার সংস্থা মুম্বইতে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এই শক্তি উৎপাদন কারখানাটি ব্যবহার করত। পরে আদানি গ্রুপ তাদের কাছ থেকে মুম্বইয়ের বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবসা ছিনিয়ে নেয়। ২০১৯ সালে বুটিবোরী প্ল্যান্ট এবং আদানির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। তারপর আর্থিক সঙ্কটে পরে এই কারখানা। যে সমস্ত ব্যক্তি এই সংস্থায় বিনিয়োগ করেছিলেন বা ঋণ দিয়েছিলেন তারা এই সংস্থার বিরুদ্ধে ঋণখেলাপি ও দেউলিয়া ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও এই সংস্থা দেউলিয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: Tata Group Share: টাটা গ্রুপের এই শেয়ারে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফার ইঙ্গিত, কেনা আছে ?