Union Budget 2022: বাজেটে গৃহ ঋণে ভর্তুকি, কর ছাড় ও বিদেশি লগ্নির আশায় তাকিয়ে রিয়েল এস্টেট সেক্টর
Union Budget 2022: এ ক্ষেত্রে যে গতি ফিরে এসেছে, তা ধরে রাখতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও ডেভেলাপাররা সরকারকে গৃহ ঋণ, ভাড়ার আবাসনে করছাড় সহ কিছু সুবিধা দেওযার আর্জি জানিয়েছেন।
Budget 2022-23 Expectations: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার সংসদে সাধারণ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অন্যান্য মহলের মতো ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এই বাজেটের দিকে গভীর আগ্রহে তাকিয়ে থাকবেন রিয়েল এস্টেট ডেভেলাপাররাও। বাজেট নথিতে অন্তর্ভূক্তির জন্য রিয়েল এস্টেট সেক্টর ইতিমধ্যেই প্রস্তাব ও সুপারিশ জানিয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে জোরাল ধাক্কা খেয়েছে রিয়েল এস্টেট ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু তারপরও ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যে গতি ফিরে এসেছে, তা ধরে রাখতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ও ডেভেলাপাররা সরকারকে গৃহ ঋণ, ভাড়ার আবাসনে করছাড় সহ কিছু সুবিধা দেওযার আর্জি জানিয়েছেন। তাঁরা ঘর ভাড়া থেকে প্রাপ্ত আয়ে করের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়ারও অনুরোধ করেছেন।
আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি এনে দিতে আবাসন ও রিয়েল এস্টেট সেক্টরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেইসঙ্গে লগ্নি ও মূলধনী ব্যয়ের ক্ষেত্রেও এই ক্ষেত্রে ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য। আবাসন ও নির্মাণ ক্ষেত্রের অগ্রগামী এবং পশ্চাদগামী সংযোগ রয়েছে এবং তা প্রায় ২০০ টি ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। তাই এই ক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে সামগ্রিক সহায়তা থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গৃহঋণে সুদে ৩-৪ শতাংশ ভর্তুকির প্রস্তাব ৩-৪ বছরের জন্য দেওয়া হতে পারে।
এইচএফএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আশিস জৈন বলেছেন, ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (পিএমএওয়াই) ভর্তুরি সরকার ২০১৫-তে চালু করেছিল। এই প্রকল্প আর্থিকভাবে অনগ্রসর বা নিম্ন আয়ভূক্ত ক্রেতাদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক সহায়ক হয়ে উঠেছে। আর এই ভর্তুকে ২০২২-র মার্চে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা মনে করছি, তা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হতে পারে। কারণ, আবাসনের ক্ষেত্রে অন্তর্নিহিত চাহিদা রয়েইছে, যার বেশিরভাগটাই আগে আর্থিকভাবে অনগ্রসর ও নিম্ন আয়ভূক্ত ক্ষেত্রের কাছ থেকে।
রানওয়াল গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ রানওয়াল বলেছেন, আইনের ২৪(বি) ধারায় সুদের হার বার্ষিক ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের সীমা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। সেইসঙ্গে সাশ্রয়ী আবসনের ক্ষেত্রে ৪৫ লক্ষ টাকার সীমাও তুলে দেওয়া প্রয়োজন। তা সাশ্রয়ী ও মিড-সেগমেন্ট হাউজিংয়ের চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। সেইসঙ্গে আমরা আশা করছি যে, সরকার সাশ্রয়ী ভাড়া আবাসন প্রকল্পের ক্ষেত্রেও উৎসাহ প্রদান সরকার চালিয়ে যাবে। ভাড়ার আবাসন প্রকল্পে করের ক্ষেত্রে সুবিধা দিয়ে এক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান হলে তা এইসব প্রকল্পে লগ্নির গতি ত্বরাণ্বিত করবে।
ট্রান্সকন ডেভেলপার্সের ডিরেক্টর শ্রদ্ধা কেডিয়া আগরওয়াল বলেছেন যে, আসন্ন বাজেট বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে আরও বেশি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠার প্রয়োজন রয়েছে।