Donald Trump : ফের ভারত নিয়ে আক্রমণাত্বক ট্রাম্প, বললেন এই কথা, বাণিজ্য চুক্তি হবে না ?
Trump Tariff : দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে 'সম্পূর্ণ একপেশে' ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য "বিপর্যয়" বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

Trump Tariff : ভারত-রাশিয়া-চিনের হাত মেলানোর আবহে ফের ইন্ডিয়া নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য় করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (Donald Trump)। সোমবার ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে (Truth Social Post) ভারতের বাণিজ্য নীতির সমালোচনা (India US Trade) করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দুই দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ককে 'সম্পূর্ণ একপেশে' ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য "বিপর্যয়" বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন ট্রাম্প
সোশ্যাল পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ভারত দীর্ঘদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। কিন্তু আমেরিকান কোম্পানিগুলিকে তাদের বাজারে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, 'খুব কম লোকই বোঝে যে-আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করি। কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ব্যবসা করে। অন্য কথায়, তারা আমাদের কাছে প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি করে, তাদের সবচেয়ে বড় ‘ক্লায়েন্ট’, কিন্তু আমরা সেগুলি খুব কম বিক্রি করি।”
শুল্ক সমালোচনার প্রেক্ষিতে কী বলেছেন ট্রাম্প
মার্কিন রফতানি সীমিত করার জন্য ট্রাম্প ভারতের উচ্চ শুল্ককে দায়ী করেছেন। ভারত-মার্কিন বাণিজ্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন, “এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ একপেশে সম্পর্ক, এটি বহু দশক ধরে চলে আসছে ।কারণ হল, ভারত এখনও পর্যন্ত আমাদের ওপর অনেক বেশি শুল্ক আরোপ করেছে। যা অন্য যেকোনও দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। যে কারণে আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি ভারতে পণ্য বিক্রি করতে পারছে না। এটি সম্পূর্ণ একতরফা বিপর্যয়!”
রাশিয়ার সঙ্গে তেল ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়ে কী বলেছেন
ট্রাম্প জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের জন্য রাশিয়ার উপর ভারতের নির্ভরতার কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত তার বেশিরভাগ তেল ও সামরিক পণ্য রাশিয়া থেকে কেনে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে খুব কমই ক্রয় করে।”
শুল্ক হ্রাস নিয়ে কী মন্তব্য করেছেন
ট্রুথ সোশ্যালে ভারতের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক চাপানো নিয়েও মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প বলেছেন, 'ভারত সম্প্রতি শুল্ক হ্রাস করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, কিন্তু দেরি হয়ে যাচ্ছে। ওদের বহু বছর আগেই এই কাজ করা উচিত ছিল।'
আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েনের মধ্যেই সাত বছর পর চিন সফরে গিয়েছেন মোদি। সীমান্ত সংঘাত ভুলে সেখানে পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলান মোদি ও চিনপিং। প্রায় এক ঘণ্টা কথা হয় তাঁদের মধ্যে। চিন এবং ভারতের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি, সীমান্ত সংঘাত পর্ব পেরিয়ে সমঝোতার প্রচেষ্টা, নতুন করে কৈলাস মানসরোবর যাত্রার সূচনা এবং দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবার দিকগুলি তুলে ধরেন মোদি। (India-China Relations)
চিনের সঙ্গে সখ্য় নিয়ে মোদি বলেন, “দুই দেশের ২৮০ কোটি মানুষের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক। এর সঙ্গে মানবজাতির কল্যাণের প্রশ্নও জড়িয়ে রয়েছে। পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা, সম্মান ও সংবেদনশীলতার উপর দাঁড়িয়ে এই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আমরা।”






















