Gold Prices: সামান্য স্বস্তি সোনার দামে! আজ কোথায় দাঁড়িয়ে দর?
Gold Price Today:প্রতিদিন সোনা-রুপোর দাম কেমন চলছে, এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারবেন তা। খোঁজ দিচ্ছে এবিপি লাইভ বাংলা
কলকাতা: বিয়ে, অন্নপ্রাশন, শুভকাজে-শুভতিথিতে হোক বা পছন্দের বিনিয়োগ। সোনার চেয়ে দামি বোধহয় খুব কমই আছে। এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া ভার দিনের শুরুতে সোনা-রুপোর দামের দিকে চোখ যায় না যাঁর। দেশের এক এক জায়গায় এক একদিন এক একরকম থাকে সোনা-রূপার দর। প্রায় প্রতিদিনই ওঠানামা করে তা কিন্তু বুঝবেন কীভাবে আজ বাজারে সোনা-রুপোর সঠিক দাম কত চলছে? দোকানে যাওয়ার আগে যাচাই করে নেবেন কীভাবে? দাম ঠিক না ভুল? মুশকিল আসান এবিপি লাইভ বাংলায়। প্রতিদিন সোনা-রুপোর দাম কেমন চলছে, এক ক্লিকেই জেনে নিতে পারবেন তা।
বিয়ের মরসুমে সামান্য স্বস্তি। গতকালের চেয়ে খুব সামান্য হলেও কমল সোনার দাম।
আজকের সোনার দর (১৫ ডিসেম্বর, ২০২৩):
কত ক্যারেট | কত ওজন | দাম (টাকায়) |
২৪ ক্যারেট (Fine Gold 995) | ১ গ্রাম | ৬২১৬ |
২২ ক্যারেট (কিনতে গেলে) | ১ গ্রাম | ৬০০৫ |
২২ ক্যারেট (বেচতে গেলে) | ১ গ্রাম | ৫৬৫৬ |
১৮ ক্যারেট | ১ গ্রাম | ৪৯৪৭ |
আজ রুপোর দর কত?
রুপো (৯৯৯) | ১ কেজি | ৭৪৩১৪ টাকা |
সোনা ও রূপো কেনার সময়ে উপরে উল্লিখিত দামের সঙ্গে আরও ৩ শতাংশ GST যুক্ত হবে। অর্থাৎ উপরে যে দামগুলি উল্লেখ করা হয়েছে তার সঙ্গে জিএসটি যুক্ত করা নেই।
তথ্যসূত্র: স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি (SSBC)*
সোনা কতটা খাঁটি তা ক্যারাটের উপর নির্ভর করে। সবচেয়ে খাঁটি সোনা ২৪ ক্যারাটের হয়। এর অর্থ ওই সোনায় অন্য কোনও ধাতু মেশানো নেই। সোনার ক্যারেট যত কমবে সেই সোনায় তত বেশি খাদ মেশানো হয়। যেমন ১৮ ক্যারেটের সোনায় ৭৫ শতাংশ সোনা থাকে এবং ২৫ শতাংশ অন্য ধাতু থাকে।
এছাড়াও fineness দিয়েও সোনা কতটা খাঁটি তা দেখা হয়। যেমন যদি 24 carats (995) লেখা থাকে তাহলে সেই সোনায় প্রতি হাজার ভাগে ৯৯৫ ভাগ সোনা এবং বাকি ভাগ অন্য ধাতু। 24 carats (999) লেখা হলে সেটি সবচেয়ে খাঁটি সোনা। এছাড়াও রয়েছে ২২ ক্যারেটের সোনা, তার fineness ৯১৬, ২২ ক্যারেটের সোনা দিয়েই গয়না তৈরি হয়। পাথর সেটিং, হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়।
একেবারে খাঁটি সোনা এতটাই নরম হয় যে তা দিয়ে গয়না বানানো যায় না। ফলে গয়নার সোনা পুরোপুরি খাঁটি হয় না। সোনার সঙ্গে অন্য কী ধাতু মেশানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করেই সোনার রং বদলে যায়। যেমন White Gold-এর ক্ষেত্রে সাধারণত রূপো বা প্যালাডিয়াম ব্যবহার করা হয়। রোজ গোল্ড তৈরিতে ব্যবহার হয় তামা।
*১৯৯৩ সালে তৈরি হয় স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটি। গোটা রাজ্যেই কার্যকর এই সংগঠন। স্বর্ণশিল্পী এবং স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে এই সংগঠনের কার্যকলাপ। বর্তমানে এর কার্যনির্বাহী সভাপতি সমর কুমার দে।