Bribery Case: ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন আয়কর আধিকারিক, আটক করল সিবিআই
Income Tax Officer: অভিযোগকারী সেই প্রবীণের কন্যার কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর বিভাগের কাছ থেকে তার বাবা একটি নোটিশ পেয়েছিলেন।

CBI: ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন আয়কর আধিকারিক। হরিয়ানার রোহতাকেই ঘটেছে এই ঘটনা। ৬২ বছরের প্রবীণ এক ব্যক্তির থেকে এই আধিকারিক (Income Tax Officer) ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নিচ্ছিলেন আর সেই অপরাধেই (Bribery Case) হাতেনাতে ধরে তাঁকে সিবিআই আটক করেছে। ইনকাম ট্যাক্স কমিশনারেটে কর্মরত এই প্রবীণের নাম জানা গিয়েছে হেমন্ত কুমার নৈন। ৬২ বছর বয়সী সেই প্রবীণকে আয়করের নোটিশ পাঠানো নিয়ে তার কাছ থেকে ঘুষ চাইছিলেন হেমন্ত কুমার নৈন। যদিও তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। কারণ সিবিআই (CBI) তাঁকে আটক করার পরে পরেই চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যজনিত কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা থেকে বিরত থাকতে হয় পুলিশ আধিকারিকদের। তবে তার বিরুদ্ধে বিগত ৯ মার্চ একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগকারী সেই প্রবীণের কন্যার কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ২০১৯-২০ এবং ২০২০-২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর বিভাগের কাছ থেকে তার বাবা একটি নোটিশ পেয়েছিলেন আর সেই নোটিশের উত্তর বিগত ২৮ জানুয়ারি তিনি অনলাইন পোর্টালে গিয়েই জমা করেছিলেন। এরপরে ৫ ফেব্রুয়ারি তার বাবার কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপারের ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেয় নয়াদিল্লির আয়কর আধিকারিক সঞ্জয় কুমার নামে।
সেই ব্যক্তি প্রবীণকে ফোনে জানান যে, তার নামে ১ কোটি টাকার ডিমান্ড নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। আর এই কথা শুনে প্রবীণ জানান যে এই বিষয়ে তার মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে। আর তারপরেই সঞ্জয় কুমার নামে পরিচয় দেওয়া সেই ব্যক্তিটি ডিমান্ড নোটিশ না পাঠানোর অগ্রিমস্বরূপ ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। তিনি জানান এই টাকা জমা করে দিলে মামলা তিনি বন্ধ করে দেবেন।
এরপরে দর কষাকষি চলতে থাকে, পরে ঠিক হয় প্রবীণ এই অপরিচিত ব্যক্তিকে ২ লক্ষ টাকা দেবেন যাতে ডিমান্ড নোটিশ তার নামে না আসে। কলের ওপারের ব্যক্তি জানান যে তাদের এই টাকা পাঠাতে হবে হাওয়ালার মাধ্যমে অথবা দিল্লিতে এসে। অবশেষে ঠিক হয় এই ঘুষের টাকা দিল্লির নেতাজি সুভাষ প্লেসে এসে প্রবীণের থেকে তিনি সংগ্রহ করবেন।
আর এর মধ্যেই সিবিআই আধিকারিকদের এই ঘটনার সম্পর্কে জানিয়ে রেখেছিলেন প্রবীণের কন্যা। ফলে দিল্লির সেই জায়গায় সিবিআই ফাঁদ পেতে রাখে। সেখানেই প্রবীণ ব্যক্তির থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েন হেমন্ত কুমার নৈন যিনি কিনা নিজের পরিচয় সঞ্জয় কুমার হিসেবে দিয়েছিলেন এবং এই প্রতারণা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
সিবিআই আধিকারিকরা হেমন্ত কুমার নৈনের বাড়িতে খানাতল্লাশি করেছে এবং হরিয়ানার রোহতাক, সোনিপতের অফিসেও তল্লাশি চালিয়েছে। সেখান থেকে প্রচুর নথি ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Plane Fire: পাওয়ার ব্যাঙ্ক ফেটেই চরম বিস্ফোরণ ! দাউদাউ আগুন বিমানে; চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল তদন্তে
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
