PM Modi: লালকেল্লা থেকে বিশ্বকর্মা যোজনার ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, কারা পাবেন সুবিধা ?
Independence Day: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শুরু হবে বিশ্বকর্মা যোজনা। নতুন কী সুবিধা দেবে সরকার।
Independence Day: স্বাধীনতা দিবসে দিনমজুর , শ্রমজীবী অনগ্রসর মানুষের জন্য সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন শুরু হবে বিশ্বকর্মা যোজনা। জেনে নিন, কারা পাবেন সুবিধা।
PM Modi : কত হাজার কোটির পরিকল্পনা ?
দিন লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী জানান, ওবিসি শিল্পীদের উন্নতিতে প্রায় ১৪ হাজার কোটির বিনিয়োগ করবে সরকার। কলোনি,ঝুপড়ি,ভাড়াবাড়িতে থাকেন এমন ব্যক্তিদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেবে কেন্দ্র। এই শ্রেণির মানুষজন যাতে সহজ শর্তে ঋণ পান, সেই ব্যবস্থা করবে সরকার। আগামী মাসেই শুরু হবে এই যোজনা। সব মিলিয়ে ১৩,০০০ কোটি থেকে ১৫,০০০ কোটি টাকা সাহায্য় করবে সরকার।
আগামী দিনে অনগ্রসর যেমন- ধোপা, নাপিত, স্বর্ণকার ছাড়াও দিনমজুররা পাবেন এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই প্রকল্পটি বিশ্বকর্মা পুজো অর্থাৎ ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হবে।
৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে সমারোহ। লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এই নিয়ে দশমবার। সকালে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মোদি। এরপর পৌঁছন লালকেল্লায়। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং তিন বাহিনীর প্রধানরা।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের ১ হাজার ৮০০ জন। লালকেল্লায় পৌঁছনোর পর প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর ২১ বার তোপধ্বনির মধ্যেই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী। আকাশপথে পুষ্পবৃষ্টি করে সেনা কপ্টার। স্বাধীনতার ৭৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দিল্লি-সহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে।
মণিপুর নিয়ে তিনি যাতে মুখ খোলেন, তাই সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবই নিয়ে চলে আসে বিরোধীরা। বারবার উত্তরপূর্বের এই অশান্ত রাজ্য নিয়ে তাঁকে কাঠগ়ড়ায় তুলেছে বিরোধীরা। সেই মণিপুরেই শান্তির আবেদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার মঞ্চ থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। সেই মঞ্চ থেকেই প্রধানমন্ত্রী তোলেন মণিপুর প্রসঙ্গ।
তিনি বলেন, "মণিপুরের মানুষের সঙ্গে আছে এই দেশ। শান্তির মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুঁজতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমাধানের সমস্ত পথ খুঁজছে।"
জাতিগত হিংসায় বিধ্বস্ত মণিপুর। পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। গত ৩ মে থেকে এই রাজ্যে কুকি-জো-চিন ও মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে এই পরিংসংখ্যান। পুলিশি এই ডেটা সম্প্রতি জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। প্রায় তিন মাস ধরে হিংসার ঘটনা লেগেই রয়েছে মণিপুরে। এই পরিস্থিতিতে মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যাতে মুখ খোলেন তা নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিরোধীরা। এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও আনে তারা। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়, সংসদে এসে প্রধানমন্ত্রী যাতে মণিপুরে এসে মুখ খোলেন সেই লক্ষ্যেই অনাস্থা।