Retirement Corpus: অবসরের পরে ভালভাবে জীবন কাটাতে দরকার এই টাকা ! রিপোর্টে টাকার অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন
Retirement Planning: যে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের ৩০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন, তারা তাদের অবসরের লক্ষ্য অর্জনে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন, বলছে রিপোর্ট।

Financial Planning: ক্রমবর্ধমান ব্যয়, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি আর মানুষের বর্ধিত আয়ুর কারণে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনার পদ্ধতিকে নতুন করে রূপ দেওয়ার কারণে ভারতীয়দের ক্ষেত্রে আরাম করে অবসর নিতে হলে দরকার ৩.৫ কোটি টাকা ! এইচএসবিসির রিপোর্টে প্রকাশ পেল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
‘অ্যাফ্লুয়েন্ট ইনভেস্টরস স্ন্যাপশট ২০২৫’ এই শিরোনামে প্রতিবেদনের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে যে কীভাবে ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে স্বল্পমেয়াদী চাহিদা যেমন ভ্রমণ, শিক্ষা এবং সম্পত্তি কেনার থেকেও তাদের অবসরের জন্য টাকা জমানোকে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য হিসেবে অনেক বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলি গুরুত্বপূর্ণ হলেও অবসর পরবর্তী জীবনে আর্থিক স্থায়িত্বের প্রয়োজনীয়তার স্বীকৃতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে।
বিনিয়োগের ধরন ও আত্মবিশ্বাস
এইচএসবিসির মতে সবথেকে বেশি পরিমাণে যে দুই সম্পদে বিনিয়োগ করছেন এখনকার তরুণেরা তা হল ইকুইটি ও সোনা। উল্লেখ্য যে গত এক বছরে সম্পদ বরাদ্দে সোনার পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারপরে অন্যান্য বিকল্প বিনিয়োগের মাধ্যম রয়েছে। এর বিপরীতে ব্যক্তিদের কাছে নগদ ধারণের হার কমে এসেছে মাত্র ১৫ শতাংশে। ভারতে বিনিয়োগকারীরা জীবনযাপনের বর্ধিত খরচ, অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে চরম উদ্বিগ্ন। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির তুলনায় তারা আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের ক্ষমতার প্রতি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। এমনটাই বলা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
পারিবারিক ও আর্থিক সুস্থতার উপরে জোর
ভারতীয় বিনিয়োগকারীরা রিয়েল এস্টেটকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন, পরিবারের সদস্যদের আর্থিকভাবে সহায়তা করছেন এবং ব্যক্তিগত সুস্থতা বজায় রাখছেন। এই বিষয়গুলি তাদের সামগ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কৌশলের কেন্দ্রে রয়েছে।
তাড়াতাড়ি শুরু করলে লাভ হয়
এই প্রতিবেদনে দ্রুত আর্থিক পরিকল্পনার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। যে সমস্ত বিনিয়োগকারীরা তাদের ৩০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছেন, তারা তাদের অবসরের লক্ষ্য অর্জনে আরও অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছেন। যারা এই প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি করেছেন, তারা প্রায়ই ভয় পাচ্ছেন যে তাদের অবসরের পরবর্তী জীবনের মানের সঙ্গে আপোস করে চলতে হতে পারে।
বিশ্বব্যাপী অবসরকালীন মানদণ্ড স্থাপন
অবসরকালীন সঞ্চয়ের লক্ষ্যমাত্রা যথেষ্ট তবু এটি অন্যান্য বিশ্ববাজারের তুলনায় বেশ কম। যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরামদায়ক অবসর গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় আনুমানিক সঞ্চয় হওয়া দরকার ১.৫৭ মিলিয়ন ডলার, সিঙ্গাপুরে দরকার হবে ১.৩৯ মিলিয়ন ডলার, হংকং ১.১ মিলিয়ন ডলার নিয়ে, চিনে ১.০৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে একজন ব্যক্তি অবসর নিতে পারেন আরামে। কিন্তু ভারতে এই অঙ্কটি রিপোর্ট অনুসারে ৪ লক্ষ ডলার।






















