Bank Fraud: গ্রাহকদের FD ভেঙে ৫ কোটি টাকা লুট করে ফেরার SBI-এর ব্যাঙ্ক কর্মী, পথে বসার জোগাড় প্রবীণ গ্রাহকদের ! পরপর FIR দায়ের
SBI Employee Fraud: গত বুধবার স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় গিয়ে পরপর বেশ কয়েকজন গ্রাহক চমকে যান। তাদের অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার একটিও নেই, সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা।

নয়াদিল্লি: স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি শাখায় বড়সড় জালিয়াতি ! গ্রাহকদের ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা লুট করে ফেরার ব্যাঙ্ককর্মী। পরপর দায়ের হয়েছে এফআইআর। আর সর্বস্বান্ত হয়ে পথে বসারত জোগাড় প্রবীণ গ্রাহকদের। ফরিদকোটের সাদিক শাখায় এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে ২৩ জুলাই অর্থাৎ গত বুধবার। অভিযোগ উঠেছে এই শাখারই এক ব্যাঙ্ককর্মী গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে জমানো টাকা, ফিক্সড ডিপোজিট ভেঙে টাকা লুট করেছেন এবং তাদের ক্রেডিট লিমিট ব্যবহার করে ঋণও তুলে নিয়েছেন কয়েক লক্ষ টাকার। এই জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সেই ব্যাঙ্ককর্মী পলাতক। ব্যাঙ্কের সেই শাখায় চলছে তদন্ত।
গত বুধবার ফরিদকোটের সাদিকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার শাখায় গিয়ে পরপর বেশ কয়েকজন গ্রাহক চমকে যান। তাদের অ্যাকাউন্টে জমানো টাকার একটিও নেই, সর্বস্বান্ত হয়েছেন তারা। প্রবীণ গ্রাহক ও মহিলাদের অ্যাকাউন্ট থেকেও সব টাকা তুলে ফেলা হয়েছে। দুশ্চিন্তায় এবং মানসিক আঘাতের জেরে হাউহাউ করে কাঁদতে থাকেন অনেকে। ব্যাঙ্ক চত্বরের স্বাভাবিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়। জানা গিয়েছে এক-দুজন নয় ৭০ জন গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লুট করে পালিয়েছেন সেই ব্যাঙ্ককর্মী।
প্রথমে কয়েকজন গ্রাহক লক্ষ্য করেন যে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে বেশ কিছু টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনা ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা তদন্ত করে দেখেন প্রায় ৭০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা লুট করা হয়েছে এবং সেই শাখার এক ব্যাঙ্ককর্মীকে পলাতক দেখে তাঁর উপরেই এই অপরাধের সন্দেহ জাগে। বেশ কিছু গ্রাহক অবাক হয়ে যান এটা দেখে যে তাদের ফিক্সড ডিপোজিট কোনও অনুমতি ছাড়াই বন্ধ করা হয়েছে আর সেই টাকা অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছে, নমিনির তথ্য বদলে দেওয়া হয়েছে।
পরমজিৎ কৌর নামের এক গ্রাহকের জয়েন্ট এফডি ভেঙে লুট করা হয়েছে ২২ লক্ষ টাকা, সন্দীপ সিং নামের আরেক গ্রাহকের ৪ লাখ টাকা করে চারটি এফডি ভেঙেও টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে সংবাদসূত্রে। ব্যাঙ্কের পরিসংখ্যান অনুসারে প্রায় ৫ কোটি টাকা লুট করে পালিয়েছে সেই ব্যাঙ্ককর্মী। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে গ্রাহকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে যে তাদের অ্যাকাউন্টে তদন্ত চলছে এবং তাদের খোয়ানো টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
সেই ব্যাঙ্কের শাখার ফিল্ড অফিসার সুশান্ত অরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে তিনি কিছুদিন হল এই শাখায় যোগ দিয়েছেন এবং তাঁর কাছে অনেক গ্রাহক এসে অভিযোগ করায় এই তথ্য তিনি জানতে পেরেছেন। অন্যদিকে সাদিক থানার ইন-চার্জ নভদীপ ভাট্টি জানান যে একটি মামলা দায়ের হয়েছে সেই ব্যাঙ্ককর্মীর নামে এবং তাঁর নাম জানা গিয়েছে অমিত ধিংরা। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৪টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।






















