Share Chat: এবার ছাঁটাই শেয়ার চ্যাটেও, চাকরি খুইয়েছেন ১০০-র বেশি কর্মী
Employee Layoffs: ভারতের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ হল শেয়ার চ্যাট। ২০১৫ সালে এই অ্যাপ নির্মাণ করেছিলেন অঙ্কুশ সচদেব, ভানু প্রতাপ সিং এবং ফরিদ এহসান নামের তিন ব্যক্তি।
Share Chat: ভারতের সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি (Social Media Platform) শেয়ার চ্যাটও (Share Chat) সম্প্রতি কর্মী ছাঁটাই করেছে। শোনা গিয়েছে, নিজেদের ওয়ার্ক ফোর্সের ৫ শতাংশ ছাঁটাই করেছে শেয়ার চ্যাট কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি শেয়ার চ্যাট কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছে তারা তাদের fantasy sports platform যার নাম নাম Jeet11- তা বন্ধ করতে চলেছে। ভারতে আরও অনেক fantasy sports platform রয়েছে, যেমন- Dream11 এবং MPL (Mobile Premier League)। এই দুই মাধ্যমের সঙ্গেও জোরদার প্রতিযোগিতা চলেছে Jeet11- এর। ভারতে শেয়ার চ্যাট কোম্পানিকে সমর্থন করে ট্যুইটার, গুগল, স্ন্যাপ এবং টাইগার গ্লোবাল এইসব সংস্থা। শেয়ার চ্যাট সংস্থার প্রায় ২৩০০ কর্মী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই ২৩০০ কর্মীর মধ্যে ১০০ জনের বেশি সংখ্যক কর্মী ছাঁটাইয়ের আওতায় পড়েছেন। শোনা যাচ্ছে, ১১৫ জন কর্মী ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন। মূলত Jeet11- এই মাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্তেই কোপ পড়েছে কর্মীদের উপর।
ভারতে শেয়ার চ্যাট অ্যাপের জনপ্রিয়তা বিপুল। তার অন্যতম কারণ হল, এই অ্যাপে একাধিক আঞ্চলিক ভাষার সাপোর্ট রয়েছে। তার ফলে শহরের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে এবং প্রত্যন্ত এলাকাতেও এই অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ভাষাগত ভাবে ইউজারদের কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। ShareChat, Moj এবং Moj Lite+ - এইসব অ্যাপ্লিকেশনের পেরেন্ট কোম্পানি শেয়ার চ্যাট। ভারতে শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্মে হিসেবে বেশ জনপ্রিয় Moj। দেশে টিকটক বন্ধ হওয়ার পর এই মাধ্যম চালু হয়েছিল। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতে বর্তমানে শেয়ার চ্যাট অ্যাপে ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি ইউজার রয়েছে, যা প্রায় হোয়াটসঅ্যাপের সমতুল্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ৪০০ মিলিয়নের বেশি। ভারতে প্রতি মাসে শেয়ার চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করেন ১৮০ মিলিয়নের বেশি অ্যাক্টিভ ইউজার। অন্যদিকে Moj মাধ্যমে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে দেশে।
ভারতের নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ হল শেয়ার চ্যাট। ২০১৫ সালে এই অ্যাপ নির্মাণ করেছিলেন অঙ্কুশ সচদেব, ভানু প্রতাপ সিং এবং ফরিদ এহসান নামের তিন ব্যক্তি। প্রাথমিক ভাবে content sharing app হিসেবে নির্মাণ করা হয়েছিল এই অ্যাপ। ইউজাররা নিজেদের তৈরি content এই মাধ্যমে শেয়ারের সুযোগ পেয়েছিলেন। এরপর এক বছরের মাথায় অর্থাৎ ২০১৬ সালে ইউজারদের কাছে তাঁদের তৈরি নিজস্ব পোস্টার এবং ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট শেয়ার চ্যাট মাধ্যমে শেয়ার করার সুবিধাও পৌঁছে দিয়েছিল এই অ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- মহিলাদের ৬ হাজার টাকা দিচ্ছে সরকার, জেনে নিন কারা পাবেন সুবিধা