Minor Girl Assaulted: ধর্ষণ করতে না পেরে নৃশংস আচরণ, শিশুকন্যার যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিল পাষণ্ড, ভয়ঙ্কর ঘটনা গুজরাতে
Gujarat Child Assault Case: গুজরাতের রাজকোট থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে।

নয়াদিল্লি: শিশুকন্যার উপর নৃশংস অত্যাচার গুজরাতে। ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটির যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দিল এক পাষণ্ড। এই ঘটনায় ৩৫ বছর বয়সি এক ক্ষেতমজুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। কঠোর শাস্তির দাবি তুলছেন স্থানীয়রা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। (Gujarat Child Assault Case)
গুজরাতের রাজকোট থেকে ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এসেছে। মেয়েটির পরিবার আদতে দাহোদের বাসিন্দা। আটকোটে ক্ষেতমজুরের কাজ করতে এসেছিল। গত ৪ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন চাষের জনিতে কাজ করছিলেন মেয়েটির মা-বাবা। কিছুটা তফাতে খেলছিল মেয়েটি। সেই সময় অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক মেয়েটিকে অপহরণ করে। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। (Minor Girl Assaulted)
আচমকা এই ঘটনায় হকচকিয়ে গেলেও নির্যাতনের জেরে চিৎকার করতে শুরু করে মেয়েটি। সেই অবস্থায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয় ওই দুষ্কৃতী। রাগ মেটাতে একটি লোহার রড নিয়ে মেয়েটির যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেয়। এর পরই ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় সে। মেয়েটি পড়ে কাতরাতে থাকে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় তার শরীর থেকে।
এত কিছু যে ঘটে গিয়েছে, তার আঁচই পাননি মেয়েটির মা-বাবা। বেশ কিছু ক্ষণ পর মেয়ে নেই বলে খেয়াল হয় তাঁদের। সেই মতো খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছুটা দূরে একটি জমিতেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল মেয়েটি। তড়িঘড়ি তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে রাজকোটের জন্না হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আপাতত স্থিতিশীল অবস্থা মেয়েটির। তবে আর কিছু দিন হাসপাতালে রাখতে হবে তাকে।
রাজকোট গ্রামীণের পুলিশ সুপার বিজয়সিংহ গুর্জর জানান, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। ১০টি পৃথক টিম গঠন করা হয়। কমপক্ষে ১০০ জন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞসাবাদ করে তারা। শেষ পর্যন্ত ১০ জন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়। শিশু বিশেষজ্ঞদের উপস্থিতিতে সেই মতো মেয়েটিকে অপরাধীকে শনাক্ত করতে বলা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রামসিংহ তেরাসিংহ দাদওয়েজর নামের এক যুবককে শেষ পর্যন্ত শনাক্ত করে মেয়েটি। রামসিংহ মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার বাসিন্দা। ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিল গুজরাতে। সে-ই মেয়েটির উপর অত্যাচার বলে সন্দেহ পুলিশের। পুলিশ সুপার গুর্জর জানিয়েছেন, রামসিংহ বিবাহিত। নিজের তিন সন্তান রয়েছে তার। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গা থেকেই গ্রেফতার করা হয় তাকে।
এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত ছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে তেমন কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত মেলেনি বলেই খবর। মেয়েটি সুস্থ হয়ে ফিরে আসুক, আপাতত তার অপেক্ষা করছেন সকলে। অভিযুক্তকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলছেন স্থানীয়রা।






















