Purulia News: হুড়ায় ব্যাঙ্ক লুঠের ছক বানচাল পুলিশের, ধৃত ১
Conspiracy To Dacoity Foiled:সোনার শোরুমে ডাকাতির স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যেই পুরুলিয়ার হুড়ায় ব্যাঙ্ক লুঠের ছক বানচাল করল পুলিশ। তাতে গ্রেফতার করা হল ১ জনকে।
হংসরাজ সিংহ, পুরুলিয়া: সোনার শোরুমে ডাকাতির স্মৃতি এখনও টাটকা। তার মধ্যেই পুরুলিয়ার (Purulia) হুড়ায় ব্যাঙ্ক লুঠের (Bank Loot) ছক বানচাল করল পুলিশ। তাতে গ্রেফতার করা হল ১ জনকে। পুলিশের দাবি, জ্যামার-সহ অত্যাধুনিক যন্ত্র নিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১ জনকে অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে।
কী জানা গেল?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত শনিবার রাতে এসবিআই লুঠের চেষ্টা হয়েছিল। ব্যাঙ্কের পিছনের দরজার শাটার ভেঙে অ্যালার্মের তার কেটে লুঠের চেষ্টা চলে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কার্যসিদ্ধি হয়নি। ভল্টের অন্য অ্যালার্ম বেজে ওঠায় ডাকাতির চেষ্টা বানচাল হয়ে যায়, দাবি পুলিশ সূত্রে। পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও ফেলে যাওয়া যন্ত্রের সূত্র ধরে ১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোনার দোকানে ডাকাতি...
গত মাস, অগাস্টের শেষ দিকে ভরদুপুরে পুরুলিয়ায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘিরে হইচই পড়ে যায়। পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় সোনার দোকানে ৭ ডাকাত চড়াও হয়েছিল। নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে সোনার গয়না, হিরে নিয়ে চম্পট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অন্তত ৮ কোটি টাকার গয়না লুঠ হয়েছিল ওই সোনার দোকান থেকে, জানা যায় এমনই। ঘটনার দিন দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ সোনার দোকানে চড়াও হয়েছিল ডাকাতরা। ৭ জনের দুষ্কৃতী দল মোটরবাইক নিয়ে ওই আসে। শোরুমে ঢোকে। একজনের মাথায় ছিল হেলমেট। বাকিদের হাতে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সোনার গয়না, হিরে লুঠ করে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ আধিকারিকরা। কর্মচারী, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন। সিসিটিভি দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। একই দিনে, কাছাকাছি সময়ে নদিয়ার রানাঘাটেও সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতির ঘটনা ঘিরে তীব আলোড়ন শুরু হয় রাজ্যে। একদিনে রাজ্যের দুই জেলায় সেনকো গোল্ডের দুই শোরুমে ডাকাতির ঘটায় প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা নিয়ে। রানাঘাটের সোনার দোকানে ভরদুপুরে গুলি চালিয়ে লুঠ করা হয় বলে খবর।
রানাঘাটের ঘটনা...
রানাঘাটের শোরুমের ম্যানেজার জানান, ঘটনার সময় লাগোয়া রুমে তিনি দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারছিলেন। হঠাৎই একটি আওয়াজ পেয়ে বেরিয়ে আসেন। দেখা যায়, বিপণির ক্যাশ কাউন্টারের সামনে অনেকের জটলা। প্রত্যেকের হাতেই আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলে দাবি ম্যানেজারের। বিপণির কর্মীদের দু-তিন জন অন্য দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদের জোর করে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আসতে বাধ্য করা হয়। সঙ্গে দুষ্কৃতীরা হুমকি দেয়, কেউ যেন কোনও ফোন ব্যবহার না করেন। সমস্ত ফোন যেন দুষ্কৃতীদের কাছে জমা রাখা হয়, এমনই জানান ম্যানেজার। লুঠপাঠের মধ্যেই বিপণির ভিতর ও পরে বাইরে মিলিয়ে ৮-১০ রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশের তৎপরতায় ৪ জন ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন:গলার নলিকাটা অবস্থায় মুম্বইয়ে উদ্ধার বিমানসেবিকার দেহ, ধৃত হাউজিংয়ের ঝাড়ুদার