Howrah News:স্কুটি চুরির অভিযোগে ১ জনকে বেধড়ক মারধর জনতার, উদ্ধারে এল জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ
Motorbike Theft:স্কুটি চুরির অভিযোগে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করল জনতা। হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের ঘটনা। পরে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
সুনীত হালদার, হাওড়া: স্কুটি চুরির (Motorbike Theft) অভিযোগে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করল জনতা (Lynching)। হাওড়ার (Howrah) জগৎবল্লভপুরের ঘটনা। পরে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে।
কী ঘটেছিল?
জনতার দাবি, গত কাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দুপুরে জগৎবল্লভপুর থানা এলাকারই একব্বপুরের বাবুল শাসমল নামে এক ব্যক্তি তাঁর স্কুটি রেখে সামনেই এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন, তাঁর স্কুটি উধাও। এর পর, সমস্ত এলাকা জুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ চালিয়ে খতিয়ে দেখা হয়। তাতেই ধরা পড়ে, তিন ব্যক্তি মিলে স্কুটিটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে। এর পর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার, সেই স্কুটি নিয়েই ওই অঞ্চলের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরতে এসেছিল তিন অভিযুক্তের এক জন। তাকে চিনতে পেরে হইচই শুরু করেন এলাকার মানুষ। দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে শুরু হয় গণপ্রহার। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু চুরিতে জড়িত সন্দেহে এক জনকে এভাবে গণপ্রহার কতটা আইনি? প্রশ্ন উঠছে।
ছেলেধরা সন্দেহে গণপ্রহার...
গত বছর, অক্টোবরে শিউরে ওঠার মতো এমনই ঘটনা ঘটেছিল হুগলির মির্জাপুরে। সে বার ছেলেধরা সন্দেহে সেখানে এক মহিলা-সহ ৬ জনকে আটক করে গণপিটুনি দেন গ্রামবাসীরা। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সন্দেহভাজনদের গাড়ি, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও হয়। হামলার মুখে পাল্টা টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। হামলার ঘটনায় আটক হন ৫ গ্রামবাসী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন দুপুরে একটি ম্যাটাডোরে করে গ্রামে ঢোকেন এক মহিলা সহ ৬ জন। ছেলেধরা সন্দেহে শিবতলা এলাকায় তাঁদেরকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে শুরু হয় বচসা, ধাক্কাধাক্কি। অভিযুক্তরা যে গাড়িতে করে এসেছিল, সেই গাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় গ্রামবাসীরা। ধরিয়ে দেওয়া হয় আগুন।পুলিশকে লক্ষ্য করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। দমকলের একটি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গ্রামে পৌঁছয় পুলিশের বিশাল বাহিনী। তারকেশ্বর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় ছয় অভিযুক্ত ও পাঁচ গ্রামবাসীকে আটক করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, অভিযুক্তরা কাগজ কুড়োতে গ্রাম গিয়েছিলেন। তবে তাঁরা গাড়ি নিয়ে কেন এলাকায় ঢুকেছিলেন? অভিযুক্তরা ছেলেধরা বা শিশু পাচারের সঙ্গে জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। ঘটনার পর গ্রামে পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এক অভিযুক্তকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়।
আরও পড়ুন:শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে বিশেষভাবে উপকারী নারকেল, কীভাবে ব্য়বহার করবেন?