(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
South Dinajpur:দেশ ও রাজধানীর নাম থেকে বিভিন্ন আবিষ্কার ঠোঁটস্থ ১০ বছরেই, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে এবার হিলি-র ইমন মন্ডল
India Book Of Record:বয়স তার মাত্র ১০ বছর, এর মধ্যেই নাম উঠে গিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। ইমন মন্ডলকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই গোটা হিলি-র মানুষে
মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: বয়স তার মাত্র ১০ বছর, এর মধ্যেই নাম উঠে গিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে (India Book of Record)। ইমন মন্ডলকে নিয়ে তাই গর্বের শেষ নেই গোটা হিলি-র মানুষের। কিন্তু কী এমন করল পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়া? শুনলে তাক লেগে যাবে।
স্কুলপড়ুয়ার ঝুলিতে...
১০ বছর বয়সি ইমনের স্মৃতিতে এর মধ্যেই গেঁথে গিয়েছে ইসলাম ধর্মগ্রন্থের ২টি বড় সুরা। শুধু তাই নয়। অনায়াসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নাম ও রাজধানীর নাম একনাগাড়ে বলে যেতে পারে সে। এমনকি পৃথিবীর ১০টি বড় স্ট্যাচুর বিবরণ-সহ নানা ধরনের আবিষ্কারের খুঁটিনাটিও স্কুলপড়ুয়ার নখদর্পনে রয়েছে। ইমনের পরিবার সূত্রের খবর, গত ১১ ডিসেম্বর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-র অনলাইন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সে। তার পরেই আসে সুখবর। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম ওঠার সুবাদে মেডেল ও শংসাপত্র পৌঁছে গিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে হিলি ব্লকের পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চুকুরপাড় গ্রামে ইমনের বাড়িতে। এত কম বয়সে এমন সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত খুশি তার পরিবার। বিশেষত ইমনের বাবা, পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ইমরান মন্ডলের আনন্দ যেন ধরে না। পড়ুয়া নিজে জানাল, মোবাইল থেকে বিভিন্ন তথ্য খাতায় লিখে নিয়ে পড়াশুনা করত সে। এর আগে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকের অন্তর্গত বলিশ্বর গ্রামের মাত্র ১ বছর ১০ মাসের আরাধ্যা পণ্ডিত।
আরাধ্যার কৃতিত্ব...
এইটুকু বয়সে একাধিক গান, নাচ, আবৃত্তি, পশু-পাখির ডাক, সাধারণ জ্ঞান বা জেনারেল নলেজ-সহ একাধিক বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠেছে আরাধ্যা। পরিবারের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে সহজে এসব কিছু রপ্ত করতে শিখে যায় সে। বাবা সোমনাথ পণ্ডিত পেশায় শিক্ষক। মা অনিমা পণ্ডিত পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের কর্মী। আরাধ্যার মা জানান, ছোট্ট আরাধ্যা মাত্র এক বছর বয়স থেকেই ভালভাবে কথা বলতে পারত। সেই শুরু। তাঁদের কাছ থেকে বিভিন্ন কবিতা, গান, শরীরের বিভিন্ন অংশের নাম-সহ একাধিক বিষয়, যা যা তাকে শোনানো হত, তা সহজেই রপ্ত করে নিত আরাধ্যা। আপন মনে বলতেও থাকত। এই প্রতিভা পরিবারের নজর এড়ায়নি। জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আরাধ্যার বাবা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করেন। কিছুদিনের মধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আরাধ্যার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। অবশেষে ২৯ জানুয়ারি হাতে পান ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের শংসাপত্র, সুদৃশ্য পেন ও মেডেল।
আরও পড়ুন:শীতের কামব্যাকে ফের পারদ, সরস্বতী পুজোর দিনে কেমন থাকবে আবহাওয়া?