Bongaon News: বনগাঁয় শ্লীলতাহানির অভিযোগ ধৃত টিএমসিপি নেতা সহ ৩, ধৃতদের মুক্তির দাবিতে অবরোধ
TMCP Leader Arrested: প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় যুবতীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হল একজন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা সহ তিনজন। দলের সঙ্গে ওদের কোনও সম্পর্ক নেই দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের।
সমীরণ পাল, বনগাঁ: বনগাঁয় (Bongaon) শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) এক নেতা সহ তিনজন। ধৃতদের মুক্তির দাবিতে পথ অবরোধ করে ও পুলিশের গাড়ি আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধৃত লাল্টু বালা। বনগাঁর নীলদর্পণ ব্লকের টিএমসিপি নেতা।
তাঁর মুক্তির দাবিতে শুক্রবার দুপুরে বনগাঁয় পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র নেতার আত্মীয় ও গ্রামবাসীদের একাংশ। পরে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ কর্মী গিয়ে অবরোধ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে কালী প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় এক যুবতীকে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ওঠে বনগাঁর নীলদর্পণ ব্লকের টিএমসিপি নেতা লাল্টু বালার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোলের সূচনা হয়। নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের অভিযোগে শুক্রবার টিএমসিপি নেতা লাল্টু বাগ সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এরপরই হয় গণ্ডগোলের সূত্রপাত। লাল্টু বালার সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় মনোজ বালা ও সুজয় বালা নামে লাল্টু বাগের দুই অনুগামীকে
পুলিশের বিরুদ্ধে লাল্টু বালাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ধৃতের আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুরা। রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা দেখা যায়। এদিকে রাস্ত অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় অভিযোগকারিণী মেয়েটির সঙ্গে আরও একটি মেয়ে ছিল। প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় মহিলাদের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তি হয়। কিন্তু, ওই মহিলারা লাল্টুদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে লাল্টুদের কোনও যোগই নেই। এই বিষয়ে ওদের কোনও দোষই নেই। আমরা মনে করছি লাল্টুদের নামে অভিযোগ দায়েরের পিছনে রাজনৈতিক কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই আমাদের দাবি, অবিলম্বে ওই তিনজনকে মুক্তি দিয়ে আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।
এদিকে তৃণমূলের সঙ্গে ধৃতদের কোনও যোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৌমেন সুতার। অন্যদিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ হল যে ওরা বলে ওরা লক্ষীর ভাণ্ডার দেয়, স্বাস্থ্য সাথী দেয় তাই ওদের অধিকার আছে। বাংলার মা-বোনেদের ধর্ষণ করার অধিকার রয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।