Abhishek Banerjee: 'গাইডলাইন না মেনে গুন্ডামি করা হয়েছে,' শিবপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় মন্তব্য অভিষেকের
এদিন অভিষেক বলেন, “চারটে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, একটাও মানা হয়নি।’’কোমরে পিস্তল গুঁজে রামনবমীর মিছিলে কেন, ভিডিও দেখিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের।
কলকাতা: গাইডলাইন না মেনে গুন্ডামি করা হয়েছে, বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের কাছে আগাম খবর ছিল। সৌহার্দ্য, সম্প্রীতির পরিবেশকে নষ্ট করার চক্রান্ত। গাইডলাইন মেনে শোভাযাত্রা করতে বলেছিল রাজ্য সরকার। পুলিশের ঠিক করে দেওয়া রুট গায়ের জোরে বদল করেছিল।'
বিজেপিকে নিশানা অভিষেকের: হাওড়ার শিবপুরে রাম নবমীর মিছিল ঘিরে গতকালের সংঘর্ষের পর আজ ফের অশান্তি। ইটবৃষ্টির পাশাপাশি, শুরু হয় বিক্ষোভ। র্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গতকালের হিংসার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, সরকারি কর্মীদের বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। শিবপুর জুড়ে পুলিশের টহলদারি চলছে। এদিন অভিষেক বলেন, “চারটে গাইডলাইন দেওয়া হয়েছিল, একটাও মানা হয়নি।’’কোমরে পিস্তল গুঁজে রামনবমীর মিছিলে কেন, ভিডিও দেখিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের। প্রশাসনের তরফে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন, 'শ্যামবাজারের সভা থেকে বলেছিল, দেখুন না কী হয়। আর তার আগে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছিল।বিভাজনের চেষ্টা করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।’এর বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে, আবেদন অভিষেকের। 'ডিজে বাজিয়ে, হাতে পিস্তল নিয়ে রামনবমীর মিছিলে কেন?' ভিডিও দেখিয়ে প্রশ্ন অভিষেকের।‘অপরাধীর কোনও ধর্ম হয় না। ভিডিওয় যাদের অশান্তি করতে দেখা যাচ্ছে তাদের প্রত্যেকে গ্রেফতার হবে। আজ না হয় কাল ঠিকই গ্রেফতার হবে, মন্তব্য অভিষেকের।'পিস্তল হাতে, আগুন লাগাতে যাঁদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের গ্রেফতারের দাবি করতে পারবে বিজেপি?'বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।‘এরা শান্তি চায় না, অশান্তি চায় না।আবেদন করা মানেই, অনুমতি নয়।’
হাওড়ায় কী ঘটেছিল
সংঘর্ষ। ভাঙচুর। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। গাড়িতে আগুন! বৃহস্পতিবার রামনবমীর মিছিল ঘিরে এমনই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার জিটি রোড চত্বর। ভয়ে, তড়িঘড়ি দোকানের ঝাঁপ নামালেন ব্য়বসায়ীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ. স্লোগান-পাল্টা স্লোগানে তেতে ওঠে এলাকা। মুহূর্তে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। পরপর গাড়িতে ভাঙচুর শুরু হয়। পুলিশের গাড়ি থেকে বাস, টোটো, অটো, দাঁড়িয়ে থাকা মোটরবাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ করে ছোড়া হয় ইট পাটকেল। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে, হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামে র্যাফ। তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Birbhum News: আবাস যোজনার বাড়ি, পানীয় জল না মেলার অভিযোগ, দিদির দূতদের ঘিরে ক্ষোভ বীরভূমে