Recruitment Scam: 'কালীঘাটের কাকু'র সাহেব অভিষেক! বিস্ফোরক দাবি
Abp Ananda Exclusive:এবিপি আন্দের মুখোমুখি হয়ে কী বলছেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু?
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্র কে? নিয়োগ-দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পর এবিপি আন্দের মুখোমুখি হয়ে কী বলছেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত কালীঘাটের কাকু?
'তাপস মণ্ডলকে চিনি না, আর আমার কর্মস্থল নিউ আলিপুর। তাই কালীঘাটের কাকু কোথা থেকে এল, বলা সম্ভব নয়। যাঁরা বলছেন, তাঁরাই এই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তাপস মণ্ডলই বলছেন আমায় চেনেন না।' নিয়োগ-দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ নস্যাৎ করেছেন সুজয় ভদ্র।
আরও কী দাবি:
তিনি আরও বলেন, 'সিবিআই-ইডি আছে, তারা দেখুক, আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। আমি চাকরি দিতে পারলে ভাইঝিকেই চাকরি দিতাম। ভাইঝি এমএ, বিএড, টেট পাস করেও তাঁর চাকরি হয়নি। নিজের মেয়েও এসএসসি-র গ্রুপ সি-র পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পায়নি। আমি চাকরি করাতে পারলে তো তাঁদের চাকরি হত। আমার মেয়ের যদি নাও হতো, আমার দাদার মেয়ের তো হতো। এমএ, বিএড, ওর চাকরি তো করিয়ে দিতে পারতাম।'
বিস্ফোরক 'কালীঘাটের কাকু':
সুজয় ভদ্র বলেন, 'আমার সাহেবকে ছুঁতে না পেরে, আমি পর্যন্ত এসে থেমে যাচ্ছে। আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সাল থেকে অভিষেকের অফিসে চাকরি করি। কয়লা পাচার মামলায় সিবিআই সাক্ষী হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। ইডিও ডেকেছিল, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় যেতে পারিনি।' গোপাল দলপতিকেও চেনেন না বলে দাবি সুজয় ভদ্রর। তিনি বলেন, 'কুন্তল যেদিন বলবেন কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিয়েছি, সেদিন জবাব দেবো।'
কালীঘাটের কাকু। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রথমবার গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছিল এই রহস্য়ময় চরিত্রের কথা। 'কালীঘাটের কাকু' বলা গোপাল দলপতিকে সিবিআই তলব। সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে তলব, এখনও যাননি গোপাল দলপতি। নির্ধারিত সময়ের পর ৫ ঘণ্টা পার, এখনও হাজির হননি গোপাল দলপতি।
আরও এক নেতার নাম:
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার নাম। ওই নেতার PA-র অ্যাকাউন্ট থেকে ৩৯ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে।
সিবিআইয়ের জেরায় বিস্ফোরক দাবি করলেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। সিবিআই সূত্রে খবর, গতকাল গোপালের মুখোমুখি বসে জেরায় কু্ন্তল দাবি করেন, চাকরি-বিক্রির ৬১ লক্ষ টাকা জমা পড়েছে মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রীর সংস্থার অ্যাকাউন্টে। এর মধ্যে ৩৯ লক্ষ টাকা এসেছে উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার PA-র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে। সিবিআইয়ের দাবি, বিভিন্ন জায়গা থেকে এই টাকা জমা পড়েছিল। টাকার উৎস কী, তা জানতে আজ ফের গোপাল দলপতিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বিধায়ক, বিচারপতিরাই বা সমহারে DA পাবেন না কেন, প্রশ্ন তুললেন কল্যাণ