North 24 Parganas Soil Theft Racket : হাড়োয়ায় বিদ্যাধরী নদীর ধার থেকে দিনে-দুপুরে চুরি যাচ্ছে মাটি !
ABP Impact Story : শিলিগুড়ি এবং সোনারপুরকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে এবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় সামনে এল অবাধে মাটি চুরির ছবি!
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা : উত্তর ২৪ পরগনার- (North 24 Parganas) হাড়োয়ায় বিদ্যাধরী (Bidyadhari River) নদীর ধার থেকে দিনে-দুপুরে চুরি হচ্ছে মাটি। নদী বাঁধের একাংশ কেটে জোয়ারের সময় জমানো হচ্ছে পলি। তারপর তা কেটে পাচার হচ্ছে স্থানীয় ইটভাটায়। বেআইনিভাবে মাটি কাটায় তৃণমূলের মদত রয়েছ বলে দাবি বিজেপির। পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও (TMC)। অভিযোগ পেলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর।
অবাধে মাটি চুরি !
শিলিগুড়ি (Siliguri) এবং সোনারপুর (Sonarpur) কাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতে এবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ায় সামনে এল অবাধে মাটি চুরির ছবি। নদী থেকে মাটি বা বালি তোলা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার কুলটি পঞ্চায়েত এলাকায় দিনের আলোয় চলছে মাটি চুরি। এদিনও ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মাটি কাটছেন ২ ব্যক্তি। ক্যামেরা দেখেই তাঁরা সরে পড়েন। কথা বলতে চাননি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে নদী বাঁধের একাংশ কেটে দেওয়া হয়। তারপর জোয়ারের সময়, জলের সঙ্গে পলি মাটি ঢুকিয়ে জমানো হয়। সেই মাটি পে-লোডার দিয়ে তুলে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয় ইটভাটায়। এভাবে লাগাতার মাটি তোলায়, নদী বাঁধের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা শঙ্কর চট্টোপাধ্য়ায় বলেছেন, 'বিদ্যাধরী নদী থেকে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে নদীর পলিমাটি চুরি হচ্ছে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করার জন্য বোমা গুলি আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করছে তৃণমূল। আর সেই টাকা এই মাটি চুরি করে যোগান দিচ্ছে।' পাল্টা মিনাখাঁর তৃণমূল নেতা বলেছেন, 'নদীর কোনও কোনও ক্ষতি হবে না, ক্ষতি হলে খতিয়ে দেখা হবে'।
প্রশাসনের কী বক্তব্য
দিনেদুপুরে নদীতে মাটি চুরি, কী করছে প্রশাসন ? 'অভিযোগ পেলে তদন্ত', আশ্বাস ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের। হাড়োয়ার বিএলএল আরও আশিস সেন বলেছেন, 'কোনও অভিযোগ আসেনি তবে বিদ্যাধরী নদী থেকে পলিমাটি চুরি করা ,সম্পূর্ণ অবৈধ এখানে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়নি। দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' কবে ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন? কবে বন্ধ হবে বেআইনিভাবে মাটি কাটা? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয়দের মনে।