Adeno Virus: অ্যাডিনোতেও ভরসা একমো, দীর্ঘ লড়াই শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরল ৩ শিশু
করোনার পর অ্যাডিনো ভাইরাসের চিকিৎসাতেও একমোর কামাল ৬৬ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল কিশোরী একমো বাঁচাল আরও ২ শিশুর প্রাণ। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অবশেষে ছাড়া পেল তিনজনই।
সন্দীপ সরকার, কলকাতা : অ্যাডিনো ভাইরাসে (Adenovirus) আক্রান্ত হয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালে একমো সাপোর্টে (ECMO Support) থাকতে হয়েছে ৩ শিশুকে। বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতাল (Private Hospital) থেকে অবশেষে বাড়ি ফিরল ২ শিশু ও এক কিশোরী। একমো সাপোর্টে রেখেই সুস্থ করা গেছে ৩ জনকে, বলছেন চিকিৎসকরা।
একমোর কামাল: করোনার পর অ্যাডিনো ভাইরাসের চিকিৎসাতেও একমোর (ECMO) কামাল ৬৬ দিন পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরল কিশোরী একমো বাঁচাল আরও ২ শিশুর প্রাণ। বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে অবশেষে ছাড়া পেল তিনজনই ।
করোনা অতিমারীতে (Corona) বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছিল একমো অর্থাৎ এক্সট্রা কর্পোরেল মেমব্রেন অক্সিজেনেশেন কৃত্তিমভাবে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুস সচল রাখতে একমো সাপোর্টে রাখা হয় রোগীকে। ৫ বছরের শিশুকে একমো সাপোর্টে রাখা হয়েছিল ৭ দিন ৪ বছরের এক শিশুকে একমো সাপোর্টে রাখা হয় ৮ দিন টানা ৬৬ দিন একমো সাপোর্টে ছিল ১৫ বছরের কিশোরী।
দীর্ঘ ২ মাস পার করে সন্তানকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পেরে আত্মহারা কিশোরীর মা। অ্যাডিনোয় দিশা দেখাচ্ছে একমো। সাধারণ ভেন্টিলেশনে কাজ না হলে চিকিৎসকদের ভরসা এখন একমো। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভবিষ্যতে ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রজনিত সমস্যায় নতুন দিশা দেখাবে একমো, আশাবাদী চিকিৎসক মহল।
রাজ্যে শিশুদের ফুসফুস সংক্রমণের সিংহভাগের নেপথ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস: উল্লেখ্য, বর্তমানে কিছুটা কমেছে অ্যাডিনোর প্রকোপ। তবে দেখা গিয়েছে, রাজ্যে শিশুদের ফুসফুসের সংক্রমণের সিংহভাগের নেপথ্যে রয়েছে অ্যাডিনো ভাইরাস। চলতি বছরের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে অ্যাডিনোয় ২১৬ এবং ফেব্রুয়ারিতে ৩১১ জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন শিশু হাসপাতাল থেকে আসা নমুনা পরীক্ষা করে জানিয়েছে ICMR। সম্প্রতি স্বাস্থ্য দফতরের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে পাঠানো ৫৩.৫% নমুনা ও ফেব্রুয়ারিতে ৪৯.৪% নমুনায় মিলেছে অ্যাডিনো ভাইরাস। অ্যাডিনোর পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে সোয়াইন ফ্লু। ৮ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৮৩ জন। এর মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনায় ২৭, কলকাতায় ১৯, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং নদিয়ায় ১৩ জন করে সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আরেক প্রজাতি H3N2-তে রাজ্যে ২ মাসে আক্রান্ত ৭০ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক গতবছরের ডিসেম্বরে এই তিনটি ভাইরাস নিয়ে রাজ্যকে সতর্ক করেছিল।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: আগামীকাল কোন কোন জেলায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা? কতদিন এগিয়ে এল গরমের ছুটি?