North 24 Pargana: ডেঙ্গির জেরে ব্রেন স্ট্রোক, হৃদরোগ ও কিডনি সংক্রমণ! মৃত্য়ুর মুখ থেকে ফিরলেন গৃহবধূ
Dengue: ডেঙ্গিতে পর পর মৃত্য়ুর মধ্য়েই ভাল খবর। কার্যত মৃত্য়ু মুখে চলে গিয়েও সুস্থ হয়ে উঠছেন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা নিশা দাস।
সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ডেঙ্গির (Dengue) জেরে ব্রেন স্ট্রোক, হৃদরোগ ও কিডনি সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে কার্যত মৃত্য়ু মুখে চলে গিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) জগদ্দলের বাসিন্দা এক গৃহবধূ। সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। তবে ডেঙ্গি সংক্রমণের জেরে মাল্টি অর্গান ফেলিওরের ঘটনা বড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
ডেঙ্গিতে পর পর মৃত্য়ুর মধ্য়েই ভাল খবর। কার্যত মৃত্য়ু মুখে চলে গিয়েও সুস্থ হয়ে উঠছেন উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলের বাসিন্দা নিশা দাস। জগদ্দলের সুন্দিয়াপাড়ার বাসিন্দা বছর ৩৪-এর এই গৃহবধূ ৪ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গি ধরা পড়ে তাঁর ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাসপাতাল সূত্রে খবর, একইসঙ্গে হৃদরোগ, ব্রেন স্ট্রোক ও কিডনি সংক্রমণে আক্রান্ত হন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। তারপর থেকেই মৃত্য়ুর সঙ্গে কার্যত পাঞ্জা লড়ছিলেন নিশা।
তবে এখন স্থিতিশীল মিশা মঙ্গলবার জেনারেল বেডে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ডেঙ্গির স্ট্রেনের সঙ্গে বদলাচ্ছে সংক্রমণের চরিত্রও। আগে ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে রক্তক্ষরণ হত। তবে এখন ডেঙ্গি আক্রান্তদের বেশিরভাগের মাল্টি অর্গান ফেলিওরের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎকরা।
উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি: ডেঙ্গি সংক্রমণে উত্তর ২৪ পরগনা রাজ্যের মধ্যে একনম্বরে। এর মধ্যে দেগঙ্গা ব্লকে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এদিকে, বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে অসচেনতার ছবি। আউটডোরে যখন জ্বরে আক্রান্তদের লম্বা লাইন, তখন হাসপাতাল চত্বরেই আবর্জনার স্তূপ। একদিকে হাসপাতালের দেওয়ালে সাঁটা জল জমা নিয়ে সতর্কবার্তা, আরেক দিকে হাসপাতাল চত্বরে রিজার্ভারের জমা জলে মশার আঁতুড়ঘর। রোগী ও তাঁদের পরিজনেরা আতঙ্কিত। বিজেপির অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন। মুখ খুলতে চায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন বিডিও। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ডেঙ্গি প্রতিরোধে সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
চলতি মরশুমে দেগঙ্গা ব্লকে ১৯৯ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি মরশুমে গ্রামাঞ্চলে বনগাঁ ব্লকের আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা ব্লকে মোট আক্রান্ত ৬৩২ জন। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকায় কেউ না কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজ্য সরকারের ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের সদিচ্ছা নেই বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। অন্যদিকে, ডেঙ্গি মোকাবিলার বদলে তার উৎস সন্ধানে বেশি ব্যস্ত বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির নবনির্বাচিত সভানেত্রী।