Student Death Agitation:স্কুলে ছাত্র মৃত্যু, বিক্ষোভ-অবরোধ কসবা থানার সামনে
Kasba Police Station:স্কুলে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় কসবা থানার সামনে বিক্ষোভ-অবরোধ। দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
কলকাতা: স্কুলে ছাত্র (Student Death Agitation) মৃত্যুর ঘটনায় কসবা থানার (Kasba Police Station) সামনে বিক্ষোভ-অবরোধ। দেহ নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন আত্মীয় ও স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তাঁদের। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে, এই দাবিও করেছেন তাঁরা।
যা ছবি...
এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে টানা ১ ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ-অবরোধ চলছে। রুবি থেকে গড়িয়াহাট পর্যন্ত পুরোপুরি যান-চলাচল বন্ধ থাকে। যত ক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের দাবি পূরণ না হবে, তত ক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলেও শোনা যায়। সঙ্গে আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে। এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি চলছে ওই এলাকায়। এমনকী গেট টপকে কসবা থানার ভিতরেও ঢোকেন ১ বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ-অবরোধের জেরে বন্ধ যান চলাচল, চূড়ান্ত দুর্ভোগে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। পরে জানা যায়, ডিসি-র আশ্বাসে আপাতত সন্তুষ্ট হয়েছেন মৃত ছাত্রের বাবা। প্রসঙ্গত, সূত্রের খবর, আজই জানা গিয়েছিল খুন নয়, আত্মঘাতীই হয়েছে কসবার স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র। অন্তত প্রাথমিক ভাবে এমনই ধারণা ফরেন্সিকের, দাবি সূত্রে। শোনা যায়, অঙ্ক পরীক্ষার প্রজেক্ট না দেওয়ায় দুর্ব্যবহার করেছিল মৃত ছাত্র। স্টাফ রুমে ডেকে ২ মিনিট দাঁড় করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয় তাকে। তার পরেই ক্লাসে না গিয়ে ছাদে চলে যায় সে, লালবাজারে ইমেল করে এমনই দাবি কসবার সিলভার পয়েন্ট স্কুলের। সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করছে লালবাজারের গোয়েন্দা পুলিশ। রাতের দিকেই বিক্ষোভ-অবরোধ। কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ।
কী ঘটেছিল?
গত কাল, সোমবার কসবার সিলভার পয়েন্ট হাইস্কুলে ৫ তলা থেকে পড়ে গিয়ে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় মানসিক চাপ দেওয়া হত তাকে। তার পরই স্কুলের ৫তলা থেকে পড়ে ওই মৃত্যুর ঘটনা। পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের মধ্যেই অত্যাচার করে মেরে ফেলা হয়েছিল পড়ুয়াকে। মৃতের পরিবার প্রশ্ন করে, 'কান থেকে রক্ত, হাড় ভাঙেনি, তাহলে কীভাবে উপর থেকে পড়ে মৃত্যু? ৫ তলাতেই বা কী করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল?' তাঁদের স্পষ্ট দাবি, 'আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনা নয়।' মৃত ছাত্রের বাবা বলেছিলেন, 'আমার ছেলের স্কুলে দুটো প্রজেক্ট নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। ও একটা প্রজেক্ট নিয়ে যায়। গোটা ক্লাসের সামনে ওকে বলা হয় কান ধরো। হয়তো ওর মনে কোথাও দাগ পড়ে গিয়েছিল। এরপর ছেলেটা যে কোথায় চলে গেল স্কুলের কেউ জানতে পারল না। কোনও সিকিউরিটি নেই? এখন বলছে ও ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছে। এদিকে এর আগে আমাকে ফোনে বলা হয়েছিল যে ও সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। কোনটা সত্যি?'
আরও পড়ুন:বিক্রমের 3D ছবি তুলল প্রজ্ঞান! কেমন দেখতে লাগছে ল্যান্ডারকে?