Purulia: স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যু ঘিরে তুলকালাম বাঘমুণ্ডিতে, মানসিক হেনস্থার অভিযোগ নার্সিং অফিসারের বিরুদ্ধে
Purulia News: অভিযোগ, সেখানে তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করেন নার্সিং অফিসার। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকায় মোটরবাইক থেকে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি।
সন্দীপ সমাদ্দার, পুরুলিয়া: পুরুলিয়ার (Purulia) বাঘমুণ্ডির এক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Primary Health Centre) কর্মীর মৃত্যু ঘিরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সামনে তুলকালামকাণ্ড। অভিযোগ, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নার্সিং অফিসারের (nursing officer) মানসিকভাবে হেনস্থার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই কর্মী, ও তারপরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মীর মৃত্যু! ঠিক কী ঘটেছিল? কী অভিযোগ উঠছে?
মৃতদেহ নিয়ে বিক্ষোভ। প্রায় ঘণ্টাদুয়েক অবরুদ্ধ রইল ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডির তুন্তুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সামনে তুলকালামকাণ্ড।
ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নার্সিং অফিসার কৃষ্ণা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃত স্বাস্থ্যকর্মী রিঙ্কু গরাইয়ের পরিবার। অভিযোগ, সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ বাঘমুণ্ডির তুন্তুড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী রিঙ্কু গরাইকে ফোন করেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের নার্সিং অফিসার কৃষ্ণা দাস। বলেন, এক্ষুনি পুরুলিয়ায় আসতে হবে।
পরিবারের দাবি, রিঙ্কু তখন জানান, এখান থেকে পুরুলিয়া শহরের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটার। এখনই কীভাবে যাবে? অভিযোগ, তখন সাসপেন্ড করার হুমকি দেন সংশ্লিষ্ট নার্সিং অফিসার।
বাধ্য হয়ে ছেলের বন্ধুর মোটরবাইকে চেপে পুরুলিয়ার উদ্দেশে রওনা হন রিঙ্কু। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করেন নার্সিং অফিসার। পরিবারের দাবি, বাড়ি ফেরার পথে পুরুলিয়ার জয়পুর থানা এলাকায় মোটরবাইক থেকে মাথা ঘুরে পড়ে যান তিনি। ঝালদা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃতদেহ বিক্ষোভ, তুলকালাম
এরপর, মঙ্গলবার মৃতদেহ নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৫০০-র বেশি স্বাস্থ্যকর্মী। মৃতের ছেলের কথায়, 'আমার মাকে ডেকে এনে টর্চার করা হয়েছে।'
বাঘমুণ্ডির এক বিক্ষোভকারী স্বাস্থ্যকর্মীর অভিযোগ, 'উনি বিকেলে ডাকেন। হেনস্থা করত। মানসিক চাপ দেওয়াতেই এই অবস্থা। শাস্তি চাই, পরিবারের একজনকে চাকরি দিতে হবে।'
এই ঘটনায় জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুরুলিয়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণালকান্তি দে বলেন, 'একটা ঘটনা ঘটেছে আমরা দেখছি।'
অভিযোগের মুখে সংশ্লিষ্ট নার্সিং অফিসার জানিয়েছেন এবার থেকে বিকেল ৫টার পর আর কোনও স্বাস্থ্যকর্মীকে ডাকা হবে না।