Job Seekers Agitation: 'সুপ্রিম' নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার এজলাস বদল, চাকরির দাবিতে পথেই আন্দোলনকারীরা
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা সরল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাস থেকে। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: নবম-দশম SLST চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আজ ৭৭৫ দিনে। সুপ্রিম কোর্টে নির্দেশ মেনে নিলেও চাকরির দাবিতে পথেই আন্দোলনকারীরা।
এদিন এক আন্দোলনকারী বলেন, “নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতি। এই নিয়োগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে। ২০১৯ সালে এই দুর্নীতির কথা আমরা তুলে ধরেছিলাম। এই দুর্নীতি মান্যতা দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রায় দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন গাঁধী মূর্তির নিচে যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা যোগ্য চাকরিপ্রার্থী। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অনেকে। বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়ায় কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায় মাথা পেতে নিতেই হবে। তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন দুর্নীতিবাজদের কীভাবে সাজা দিতে হয়, অযোগ্যদের কীভাবে বাতিল করতে হয়। কিন্তু যোগ্যারা এখনও রাস্তায়। যে বিচারপতি বিচারপ্রক্রিয়ার দায়িত্ব নিন, তিনি যেন এই ৭৭৫ দিনের কথায় মাথায় রাখেন।’’
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা সরল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের এজলাস থেকে। নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, মত আইনজীবীদের একাংশের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির সব মামলা অন্য বিচারপতিকে দেওয়ার নির্দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। নিয়োগ-দুর্নীতির সব মামলা সরল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে, মত আইনজীবীদের অন্য অংশের। ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়ার পরেই জানা যাবে সুপ্রিম কোর্টের বিস্তারিত নির্দেশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বর্তমানে যে মামলাগুলি চলছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে, সেগুলির ভবিষ্যৎ কী?
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। ইতিমধ্যেই এক ডজন মামলায় সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন অনেকে। কিন্তু ইতিমধ্যেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে যে মামলা বিচারাধীন, সেগুলির ভবিষ্য়ৎ কী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনামার কপি এসে পৌঁছবে কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর অন্য কোনও বিচারপতিকে বিচার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব দেওয়া হবে। সিবিআই বা ইডি যে তদন্ত করছে, সেগুলি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তা লাগু থাকছে। যেসব মামলায় হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ নেই এমন মামলা যে পর্যায় রয়েছে, সেই পর্যায় থেকেই মামলা শুরু হবে। যেসব মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া আছে, তাতে স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: Vastu Shastra: বাস্তুমতে এই ছবি ঘরে থাকলে টাকা ও অন্নের অভাব পূরণ হবে, কী নিয়মে পালন আবশ্যক?