Alipurduar News: গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে সরব তৃণমূল ঘনিষ্ঠ রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন
Greater Cooch Behar: গ্রেটার কোচবিহারের দাবিতে সরব হলেন তৃণমূলেরই ঘনিষ্ঠ রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন। যদিও তাঁর বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল। তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee) পাহাড় সফরের (Darjeeling Tour) মধ্যেই ফের পৃথক রাজ্যের দাবি উঠল উত্তরবঙ্গে! (North bengal) গ্রেটার কোচবিহারের (Greater Cooch Behar) দাবিতে সরব হলেন রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন। যিনি আবার রাজ্য সরকারেরই তৈরি রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান।
গ্রেটার কোচবিহারের দাবি
বংশীবদন বর্মন বলেছেন, ‘চুক্তি ও ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী সবকিছুই লিপিবদ্ধ আছে। সেই দাবি আছে ছিল এবং থাকবে। এই গ্রেটার কোচবিহারের যে দাবি তা পূরণ করা হোক। কোচবিহার ভারতভূক্তি চুক্তি অনুযায়ী গ্রেটার কোচবিহার রাজ্য যদি করা হয়, তাহলেই উন্নয়ন সম্ভব।’
বুধবার আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে (Alipurduar University) একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজবংশী নেতা ও রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ও তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বংশীবদন বর্মন। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। সেই অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়েই পৃথক রাজ্যের দাবি তোলেন বংশীবদন বর্মন। যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেছেন, ‘এই দাবি তোলা ঠিক নয়। পৃথক রাজ্যের দাবি মানুষ মানছেন না। পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড দাবি থেকেও সরে আসছেন মানুষ। সবাই উন্নয়ন চায়।’
পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা
সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে সরে আসার কথা ঘোষণা করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মন। তাঁর দাবি, ‘মোর্চা আলাদা রাজ্যের দাবি থেকে সরে গেলেও আমরা সরব আছি ও থাকব গ্রেটার কোচবিহার নিয়ে।’
তৃণমূলকে কটাক্ষ বিজেপি-র
সাম্প্রতিক অতীতে বারবার পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য কিংবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি জানিয়েছেন বিজেপি-র একাধিক বিধায়ক, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তখন সমালোচনায় সরব হয়েছে তৃণমূল। আর এখন যখন খোদ রাজ্য সরকারের তৈরি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানই পৃথক রাজ্যের দাবি জানাচ্ছে, তখন অস্বস্তিতে তৃণমূল আর সরব বিজেপি। ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন বলেছেন, ‘বাংলাকে ভাঙার ষড়যন্ত্র মুখ্যমন্ত্রীই করছেন। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিয়েছেন। উত্তরবঙ্গের মানুষের আবেগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী খেলা শুরু করেছেন যা দুর্ভাগ্যজনক। তার নেতা এক দিকে বলছে পা ভেঙে দেব, অন্যদিকে আরেকজনকে বের করে দিয়েছেন মানুষের আবেগকে সুড়সুড়ি দেওয়ার জন্য।’
দেশীয় রাজ্য কোচবিহার
কোচবিহার একসময় দেশীয় রাজ্য ছিল। ১২ সেপ্টেম্বর ১৯৪৯ স্বাধীন ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয় কোচবিহার। ১৯৫০ সালের ১৯ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গের জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয় কোচবিহার। দীর্ঘদিন ধরেই গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের দাবি উঠছে। তবে সেই দাবি পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন ২২ জনকে পুড়িয়ে খুন! রামপুরহাটকাণ্ডে ফিরল আলিপুরদুয়ার চা বাগানে হত্যালীলার স্মৃতি