Alipurduar: 'পরিযায়ী পাখির মতো এসে নাক গলাচ্ছেন' যুব মোর্চার জেলা সভাপতিকে তোপ দেগে সরব বিজেপি নেতা
‘জেলা বিজেপিকে শেষ করার জন্য কত টাকা নিয়েছেন বিধায়ক? পরিযায়ী পাখির মতো জেলায় এসে নাক গলাচ্ছেন দীপক বর্মন। বিজেপিকে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন ফালাকাটার বিধায়ক।’ফেসবুক পোস্টে তোপ
ফালাকাটা: রাজ্য বিজেপিতে বাড়ছে কোন্দল। বিজেপি যুব মোর্চার নতুন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে অন্তর্দন্দ্ব। ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ককে তোপ দলেরই নেতার!
‘জেলা বিজেপিকে শেষ করার জন্য কত টাকা নিয়েছেন বিধায়ক? পরিযায়ী পাখির মতো জেলায় এসে নাক গলাচ্ছেন দীপক বর্মন। বিজেপিকে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাবছেন ফালাকাটার বিধায়ক।’
ফেসবুক পোস্টে (Facebook) এভাবেই তোপ দেগেছেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দেবকুমার শাহ। এদিন বিধায়ককে সেটিং মাস্টার বলে আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। যদিও এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মন। উল্লেখ্য, ঘটনার পরেই দেবকুমার শাহকে জেলা কমিটি থেকে সরিয়ে দিল বিজেপি (BJP)।
রাজ্য বিজেপিতে (BJP) অব্যাহত বিদ্রোহের সুর। গতকাল বর্ধমান (Burdwan) সদর সাংগঠনিক জেলার যুব মোর্চার সভাপতির নাম ঘোষাণা হতেই দেখা দিল বিক্ষোভ। জেলা পার্টি অফিসে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি (bjp) কর্মীদের একাংশ। দলের জেলা নেতৃত্বের দাবি, ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে। এনিয়ে গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
বঙ্গ বিজেপিতে ক্রমশ ছড়াচ্ছে বিদ্রোহের আগুন। যেদিন দলের বারাসাত সাংগঠনিক জেলার ১৫ জন পদাধিকারী গণ ইস্তফা দিলেন, সেদিনই বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার পার্টি অফিসে চলল বিক্ষোভ। যুব মোর্চার নতুন জেলা সভাপতির নামে আপত্তি জানিয়ে, রবিবার রাতে বিক্ষোভ দেখালেন দলেরই নেতা-কর্মীদের একাংশ।
রবিবারই বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি হিসেবে পিন্টু শ্যামের নাম ঘোষণা করে রাজ্য কমিটি। এখবর পেয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে দলের একাংশ। পার্টি অফিসের সামনে শুরু হয় স্লোগান। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, যাঁকে জেলা যুব মোর্চার সভাপতি করা হয়েছে, তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত।
বর্ধমানেক ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ইন্দ্রনীল গোস্বামীর দাবি, পিন্টু শ্যাম তোলাবাজি ও দুর্নীতিতে যুক্ত, স্বজনপোষণ করে কাছের লোককে পদ দেওয়া হয়েছে।
বর্ধমানের আরেক বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী উজ্জ্বল তফাদারের কথায়, আমরা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি হিসাবে পিন্টু শ্যামকে মানছি না। যাকে ঘিরে এত বিতর্ক, সেই পিন্টু শ্যামের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।
বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তার কথায়, মান অভিমানের পালা, খুব তাড়াতাড়ি মিটে যাবে, কারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে জানা নেই, যারা স্বজনপোষণ, তোলাবাজির অভিযোগ করছেন তারা বিজেপির কেউ নয়। বিজেপিতে অব্যাহত বিদ্রোহ। কটাক্ষ তৃণমূলের। সব মিলিয়ে কিছুতেই কাটছে না গেরুয়া ব্রিগেডের অন্দরের অস্বস্তি।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে তৎপর 'আপ', লিফলেট বিলি করে শুরু সদস্য সংগ্রহ অভিযান