Alipurduar News: সীমান্ত পেরিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন ভুটানি, পুলিশ সেজে 'অপহরণ' ৪ ভারতীয়র ; তারপর যা ঘটল...
Crime News: বুধবার সন্ধ্যায় ভুটানের নাগরিক সোনম ছুপেল ব্যাবসায়িক কেনাকাটা করতে সীমান্ত গেট দিয়ে ভারতের জয়গাঁওতে প্রবেশ করেন।
অরিন্দম সেন, জয়গাঁও (আলিপুরদুয়ার) : ভুটানের নাগরিককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক ভারতীয়। ভারতের সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওতে কেনাকাটা করতে এসেছিল ভুটানের ওই নাগরিক। ঘটনাটি ঘটেছে ভারত-ভুটান সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওতে।
বুধবার সন্ধ্যায় ভুটানের নাগরিক সোনম ছুপেল ব্যবসায়িক কেনাকাটা করতে সীমান্ত গেট দিয়ে ভারতের জয়গাঁওতে প্রবেশ করেন। সেখানে এম জি রোডে তাঁর গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখে কেনাকাটা করতে যান। এই সুযোগে জয়গাঁও এর চার ব্যক্তি তাঁর গাড়িতে কোনো উপায়ে লক খুলে ভেতরে তিন কার্টুন নিষিদ্ধ কফ সিরাপ রেখে দূর থেকে নজরদারি করতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপর ভুটানের ওই ব্যবসায়ী কাজ সেরে তাঁর গাড়িতে ফিরে আসেন। সেইসময় অভিযুক্তরা সেখানে উপস্থিত হয়ে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে। তল্লাশিতে নিজেদেরই রাখা কফ সিরাপ বেরিয়ে আসে।
অভিযোগ, এরপর ভুটানের সেই নাগরিককে মাদক পাচার মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথমে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরে চার লক্ষ টাকায় রফা হয়। এরপর ওই ভুটানিকে নিজেদের গাড়িতে তুলে জয়গাঁও এর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকে। মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় আনতে যায় অপহরণকারীদের মধ্যে একজন। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা জয়গাঁও পুলিশ জানতে পেরে অভিযান চালায়। জয়গাঁও এমজি রোড এলাকায় মুক্তিপণ লেনদেনের জায়গায় পৌঁছে অভিযুক্তকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে ভুটানের নাগরিককে ফেলে পালিয়ে যায় বাকি তিন অভিযুক্ত। ধৃত ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করে ঘটনার তদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস জানান, একজন ভুটানিকে ভুয়ো পুলিশ সেজে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল। আমরা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
রক্ষকই যেন ভক্ষক! গত বছর অক্টোবরে অপহরণের অভিযোগ ওঠে সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ধৃতের নাম ফিরোজ মিদ্দা। তিনি বিধাননগর কমিশনারেটে কর্মরত । অভিযোগ, ২-৩ দিন আগে বাসন্তী হাইওয়ের কাছে পরিচিত এক ব্যক্তিকে মারধর করে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। প্রথমে একটি দোকানে আটকে রেখে পরে নিয়ে যাওয়া হয় হোটেলে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে ফোন করে ১০-১২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। ভাঙড় থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। এর পর ভাঙড় থানার (Bhangar Police Station) পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে নিউটাউন থেকে গ্রেফতার করে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।