Rahul Gandhi: ছাড়পত্র মেলেনি, ঝাড়খণ্ডে ২ ঘণ্টা আটকে রইল রাহুলের বিমান ; প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য দেরি ?
Jharkhand Congress: ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্র্রী দীপিকা পাণ্ডে সিং।
রাঁচি : উড়ানের ছাড়পত্র মেলেনি। যার জেরে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় আটকে রইল রাহুল গান্ধীর হেলিকপ্টার। কংগ্রেসের অভিযোগ, ঝাড়খণ্ডের দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই বিরোধী দলনেতার হেলিকপ্টারকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। জোর করে বিজেপি এই বাধা সৃষ্টি করেছে। অভিযোগ উঠছে, বিহারের জামুইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভার জন্য রাহুলের হেলিকপ্টারের ছাড়পত্রে এই দেরি। কারণ, এর জেরে ওই এলাকায় আকাশপথ পাওয়ার সমস্যা হচ্ছে।
ঘটনা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেত্র্রী দীপিকা পাণ্ডে সিং। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এই দেশে কি স্বাধীনভাবে ভোট প্রচারের অধিকার শুধু প্রধানমন্ত্রীর আছে ? তিনি বলেন, "প্রায় এক ঘণ্টা ধরে দেশের বিরোধী দলনেতাকে চপারে অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়েছে। তারা তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি না, বিজেপি কেন এটা করছে । ওরা আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। লোকসভা ভোটে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। আর এখন আমাদের ভোটে লড়াই আটকাতে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছে।"
দুই ঘণ্টার বেশি সময় আটকে থাকার পর, শেষমেশ রাহু গান্ধীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয় এবং গোড্ডা থেকে উড়ে যায় তাঁর হেলিকপ্টার।
এদিন ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে আটকে যায় প্রধানমন্ত্রীর বিমান। দেওঘরে প্রধানমন্ত্রীর বিমানে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেয়। এদিন দুপুরে দেওঘর থেকে দিল্লি ফেরার সময় হয় বিমান-বিভ্রাট। যতক্ষণ না যান্ত্রিক ত্রুটি মেটানো যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত শহরের বিমানবন্দরেই থাকতে হবে বিামনটিকে। যার জেরে প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি ফেরার সময় দীর্ঘ হয়।
বিরসা মুণ্ডার জন্মবার্ষিকী যা জনজাতি গৌরব উৎসব হিসাবে পালিত হয়, সেই উপলক্ষে এদিন ঝাড়খণ্ডে দু'টি জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২০ নভেম্বর ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফার ভোট রয়েছে।
এদিন সভায় কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে আগাগোড়া তুলোধনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতাকে যথারীতি 'শাহজাদা' খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ তোলেন, এসসি, এসটি ও ওবিসিদের দুর্বল করতে তাদের সংরক্ষণ বাতিল করানোর চেষ্টা করছেন রাহুল গান্ধী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কংগ্রেসের ইচ্ছা বিপজ্জনক। কংগ্রেসের শাহজাদা এসসি, এসটি ও ওবিসিদের সংরক্ষণ বাতিল করার চেষ্টা করছেন। রাজপুত্রর বাবা সংরক্ষণকে দাসত্ব বলেছিলেন। পরে ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। সংরক্ষণ বাতিল করার জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। যদিও এধরনের যে কোনো যড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করব।"