Alipurduar News: আলিপুরদুয়ারে লোকালয় থেকে ফের উদ্ধার ব্ল্যাক বিয়ার প্রজাতির ভালুক, ছাড়া হল জঙ্গলে
Alipurduar News: বক্সা বন দফতর সূত্রে খবর, গতকাল বিকেল ৫ টা নাগাদ এই ভালুকটিকে দেখা যায় আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক নদীর চরে। খবর পেয়ে বনদপ্তরের কুমারগ্রাম রেঞ্জের কর্মীরা সেখানে পৌঁছন।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: আবারও লোকালয় থেকে উদ্ধার হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার প্রজাতির ভালুক। ( Himalayan Black bear rescued) লোকালয় থেকে উদ্ধার করে (Alipurduar) বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল আনুমানিক ২ বছর বয়সের ওই হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার প্রজাতির স্ত্রী ভালুকটিকে।
বক্সা বন দফতর সূত্রে খবর, গতকাল বিকেল ৫ টা নাগাদ এই ভালুকটিকে দেখা যায় আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের রায়ডাক নদীর চরে। খবর পেয়ে বনদপ্তরের কুমারগ্রাম রেঞ্জের কর্মীরা সেখানে পৌঁছন। তাঁরা ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করার পর ভালুকটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন বলে বন দফতর সূত্রে খবর। তারপর, প্রাণী চিকিৎসককে দিয়ে ভালুকটির সুস্থতা পরীক্ষার পর আজ সকালে সেটিকে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন দফতরের পূর্ব উপক্ষেত্র অধিকর্তা পি হরিশ এ কথা জানান।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩-রা ডিসেম্বর একইভাবে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসা আলিপুরদুয়ারের মাঝেরডাবড়ি চা বাগানে ভালুকের দেখা মেলে। ঘুম পাড়ানি গুলিতে কাবু করার পর সেটিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল বক্সার গভীর জঙ্গলে। একের পর এক লোকালয়ে ভাল্লুকের উপস্থিতিতে চিন্তিত বন দফতর।
কিছুদিন আগে ভালুকের পচাগলা দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল আলিপুরদুয়ারে। দেহটি দিন তিনেকের পুরনো বলেই অনুমান ছিল বন দফতরের। পেটের কাছের বেশ কিছুটা অংশ খুবলে তুলে নেওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই দেহটি উদ্ধার হয়। বন্য কোনও জন্তুর হামলাতেই ভালুকটির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান ছিল বন দফতরের আধিকারিকদের।
আলিপুরদুয়ারের অন্তর্গত দলগাঁও রেঞ্জ জঙ্গল থেকে ভালুকের (Black Bear Found Dead) দেহটি উদ্ধার হয়। সকালে বনদফতরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের অধীনস্থ ১৯৭৯ প্ল্যান্টেশন এলাকায় টহল দেওয়ার সময় সেটি চোখে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় বন দফতরে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রাথমিক তদন্তের পর বন দফতর (Forest Department) জানায়, সেটি হিমালয়ান ব্ল্যাক প্রজাতির স্ত্রী ভালুকের দেহ (Himalayan Black Bear)। সম্ভবত দিন তিনেক আগে ভালুকটির মৃত্যু হয়। কোনও বন্য জন্তুই তার পেটের অংশ খুবলে খেয়েছে বলে মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। দেহটির ময়নাতদন্ত করে দেখা হয়।