Bhutan Tourism: আড়াই বছর পর খুলল প্রবেশদ্বার, কিন্তু খরচ বাড়ল ভুটান বেড়ানোর
Alipurduar News: লন্ডন বা আমেরিকা নয়, বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের, বিশেষ করে বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দ ভুটান।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: করোনা কালে প্রায় আড়াই বছর বন্ধ ছিল ফটক। অবশেষে খুলে গেল ভুটানের দরজা (India-Bhutan Border)। পুজোর আগে তাই মেজাজ ফুরফুরে ভ্রমণপিপাসুদের। কিন্তু ভুটানে বেড়ানোর খরচ বেড়ে গেল একধাক্কায়। ভুটানে (Bhutan Tourism) থাকার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১২০০ টাকা দিতে হবে পর্যটকদের (Alipurduar News)।
ভুটান বেড়াতে যাওয়ার খরচ বাড়ল
লন্ডন বা আমেরিকা নয়, বিদেশে বেড়াতে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভারতীয়দের, বিশেষ করে বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দ ভুটান। হিমালয়ের কোলে ছবির মতো সাজানো ছোট্ট দেশ। তাই পুজোর ছুটি তো বটেই, বছরের অ্য সময়ও ভুটানে ভারতীয় পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। করোনা কালে সেই রীতিতে ছেদ পড়ে। কারণ বিগত আড়াই বছর ধরে ভারত এবং ভুটান সীমান্ত বন্ধ ছিল। পুজোর আগে সেই ফটক খুলে গিয়েছে।
শারদোৎসবের প্রারম্ভে এই সিদ্ধান্তে তাই খুশির আমেজ ধরা পড়ে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং জানিয়েছেন, দেশের পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করে তুলতে ফটক খুলতে আগ্রহী ছিলেন তাঁরা। কিন্তু অতিমারির জন্য় ঝুঁকি নিতে পারেননি। তাতে সীমান্তের দুই তরফেই স্বস্তি ফিরলেও, ভুটান বেড়ানোর খরচ বাড়ছে। কিন্তু ভুটানে রাত্রিবাসের জন্য এ বার থেকে মাথাপিছু অতিরিক্ত ১২০০ টাকা দিতে হবে পর্যটকদের। পর্যটক শিল্পের উন্নয়ন খাতে ওই টাকা ব্যয় হবে বলে জানা গিয়েছে।
ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেরার্স সোসাইটি-র সভাপতি পার্থসারথি রায় বলেন, "ফটক খুলে যাওয়ায় খুশি আমরা। কিন্তু ভারতীয়দের রাত্রিবাসের জন্য ১২০০ টাকা করে দিতে হবে। আমরা আপত্তি জানিয়েছি.। কারণ এতে মধ্যবিত্ত মানুষের ভ্রমণপিপাসু মন বঞ্চিত হবে।" ভুটান সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন জয়গাঁ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-র চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।
নোভেল করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের প্রকোপ দেখা দেওয়ার পরই সীমান্তে অবস্থিত ভুটানের প্রবেশদ্বার বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে বিগত আড়াই বছর বন্ধই ছিল ওই প্রবেশদ্বার। তাতে সীমান্ত লাগোয়া অর্থনীতি, যা মূলত পর্যটনের উপরই নির্ভরশীল, তা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আড়াই বছর পর খুলল ভুটানের প্রবেশদ্বার
শুধু তাই নয়, করোনা পূর্ব সময়ে দুই দেশের নাগরিকরা অন্য দেশে কাজের সন্ধানেও যেতেন। অতিমারিতে সেই রোজগারের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যায়। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন বহু শ্রমিক। এতদিনে ফটক খোলায় তাঁরাও খুশি। আগের মতো ফের কাজের জায়গায় যেতে পারবেন বলে আশাবাদী তাঁরা।