Nadia: পুলিশকর্মী পরিচয় দিয়ে কনস্টেবলের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৮ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ
Job Fraud: দুই ব্যক্তি সেই নিয়োগপত্র নিয়ে পুলিশ ব্যারাকে গিয়ে খোঁজ করে বুঝতে পারেন, তাঁরা দুজনেই প্রতারিত হয়েছেন। টাকা ফেরত চেয়ে একাধিকবার শৈলেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মেলে পাল্টা হুমকি।
সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: ফের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগ উঠল রানাঘাটে। রীতিমতো পুলিশের পোশাক (Police Uniform) পরেই প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ
রীতিমতো পুলিশের পোশাক পরে নিজেকে পুলিশের এসআই (SI) পদে কর্মরত পরিচয় দিয়ে পুলিশে কনস্টেবল (Police Constable) পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ৮ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে রাণাঘাট মহকুমা আদালতে।
পুলিশ পরিচয় দেওয়া প্রতারক ব্যক্তির নাম শৈলেন ঘোষ ওরফে রাহুল। তিনি শান্তিপুর থানার সর্বনন্দী পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। অভিযোগ, শৈলেন ঘোষ নামে শান্তিপুরের ওই ব্যক্তি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকার বিষ্ণু মণ্ডল এবং রোহিত মণ্ডল নামে দুই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করেন। এরপর শৈলেন ঘোষ নিজেকে ব্যারাকপুর থানার এসআই পদে কর্মরত অফিসার বলে পরিচয় দেন। একইসঙ্গে পুলিশি পোষাক পরে একাধিকবার হাঁসখালিতে ওই দুই ব্যক্তির বাড়িতেও যান। এরপর তৈরি হয় বিশ্বাসযোগ্যতার জায়গা।
পরবর্তীতে শৈলেন ঘোষ ওই দুই ব্যক্তিকে কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েক দফায় প্রায় ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। প্রথমদিকে ওই দুই ব্যক্তিকে পুলিশের পোশাক, ব্যাজ, বেল্ট, রিভলভার রাখার কেস, অশোক স্তম্ভ সহ নিয়োগপত্র দিয়ে দেন বলে জানা যায়। এরপর ওই দুই ব্যক্তি সেই নিয়োগপত্র নিয়ে ব্যারাকপুর লাটবাগান পুলিশ ব্যারাকে গিয়ে খোঁজ করে বুঝতে পারেন, তাঁরা দুজনেই প্রতারিত হয়েছেন। এরপর টাকা ফেরত চেয়ে একাধিকবার শৈলেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, ওই ব্যক্তি পাল্টা হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ। বাধ্য হয়ে ৫ ডিসেম্বর, সোমবার রানাঘাট মহকুমা আদালতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তি এখন পলাতক।
আরও পড়ুন: TMC: ‘দলের পুরনো কর্মীরা ভাল নেই’ বেসুরো রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, তৃণমূলে কোন্দল?
অভিযুক্তের মা গঙ্গা ঘোষ বলেন, 'আমার ছেলে পুলিশে চাকরি করে না। শান্তিপুরের শাড়ি ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত। তবে কোথায় কী করেছে জানি না। ও বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে তাও জানি না।'