JU Student Death: 'কোথায় ছিলেন সেই রাতে?' 'আলু'কে জিজ্ঞাসাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির
Aritra Mazumdar: গতকালই সন্ধেয় যাদবপুর থানায় হাজিরা দিতে যান DSF-এর প্রভাবশালী নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়েরই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার।
কলকাতা: যাদবপুর থানার (Jadavpur Police Station) পর এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির তলব। আজ সকাল সাড়ে ১১ টায় অরিত্র মজুমদার (Aritra Majumdar) ওরফে আলুকে তলব করেছে তদন্ত কমিটি। ৯ তারিখ রাতে তিনি কি হস্টেলে ছিলেন? ঘটনার সঙ্গে তাঁর কি কোনও যোগ ছিল? আজ অরিত্রর কাছ থেকে বয়ান নেওয়ার কথা অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির। গতকালই সন্ধেয় যাদবপুর থানায় হাজিরা দিতে যান DSF-এর প্রভাবশালী নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়েরই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষণারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার। গভীর রাত পর্যন্ত যাদবপুর থানায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
যাদবপুরকাণ্ডেপুলিশের নজরে এক ছাত্রনেতা: DSF-এর প্রভাবশালী নেতা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র সদ্য় প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান অরিত্র মজুমদারকে ডেকে যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গতকালই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর পর সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল চ্যাটে নাম ছিল এই অরিত্রর। আজ তাঁকে তলব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার সকালেই যাদবপুরকাণ্ডে দীর্ঘ ফেসবুক পোস্ট করেন এই ছাত্রনেতা।
১৩ জন পড়ুয়া গ্রেফতার: যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর ঘটনায় ১৩ জন বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট ফ্রন্ট বা DSF-এর প্রভাবশালী নেতা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ফেটসু-র সদ্য় প্রাক্তন চেয়ারম্য়ান অরিত্র মজুমদারকে ডেকে পাঠাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে ছাত্র-মৃত্য়ুর পর সোশাল মিডিয়ায় একটি চ্যাট ভাইরাল হয়। যেখানে ছাত্রটি পড়ে যাওয়ার পর নির্দিষ্ট কয়েকজনকে বাঁচাতে জিবি মিটিং ডাকার উল্লেখ ছিল। ভাইরাল হওয়া ওই চ্য়াটে অরিত্র মজুমদার ওরফে আলু-র নামের উল্লেখ ছিল।
অরিত্রর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন: এর পর থেকেই অরিত্রর ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এই প্রেক্ষাপটে, পড়ুয়া মৃত্যুর ১২ দিনের মাথায় অবশেষে সামনে আসেন তিনি! মঙ্গলবার একটি ফেসবুক পোস্টে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর গবেষনারত পড়ুয়া অরিত্র মজুমদার লেখেন, 'না, কেউই সরাসরি ছেলেটির ওপরে ঘটা র্যাগিং বা নির্যাতনের সঙ্গে আমার নাম জড়াননি। বা জড়ালেও অন্তত আমার গোচরে আসেনি। কিন্তু, একাধিক ব্যক্তির দাবি, আমি নাকি ওইদিন যাদবপুর মেন হোস্টেলে উপস্থিত ছিলাম। এবং, আমার উপস্থিতিতে মৃত্যু-পরবর্তী প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে।
ফেসবুকে লম্বা পোস্ট: ফেসবুক পোস্টে এই ছাত্র নেতা দাবি করেছেন, ৯ আগস্ট রাতে তিনি যাদবপুরের মেন হস্টেলে ঢোকেননি। ১০ আগস্ট, বৃহস্পতিবার, তিনি রাজধানী এক্সপ্রেসে নয়াদিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। সেখান থেকে পরের দিন শ্রীনগরগামী ফ্লাইট ধরেন।
নিজের কাশ্মীর সফরের ট্রেন ও ফ্লাইটের টিকিটের ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি। কিন্তু, অরিত্র মজুমদার ১০ অগাস্ট কলকাতা ছাড়ার কথা বললেও, SFI আবার এই রেজিস্টার কপির ছবি সামনে এনে দাবি করেছে, ১১ তারিখও ল্যাবে উপস্থিত ছিলেন অরিত্র।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে প্রায় ৪ দশক ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ ‘ফেটসু’ ডিএসএফের দখলে। সেই ছাত্র সংসদের চেয়ারপার্সন ছিলেন অরিত্র। পড়ুয়া মৃত্যুর পর আচমকা চেয়ারপার্সন পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তড়িঘড়ি অরিত্রর এই পদক্ষেপ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। আজ, সকাল সাড়ে ১১টায় অরিত্র মজুমদারকে তলব করে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। সূত্রের খবর তাঁর কাছে আজ জানতে চাওয়া হবে, ৯ তারিখ রাতে হস্টেলে ছিলেন কিনা? তার আগে মঙ্গলবার অরিত্রকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ যাদবপুর থানায় যান তিনি। আর যাদবপুরের পড়ুয়া মৃত্যুর পর তাঁকে ঘিরে প্রশ্নের তালিকাও অন্তহীন!
আরও পড়ুন: North 24 Pargana: চেয়ারম্যান বনাম ভাইস চেয়ারম্যান! টাকি পুরসভায় চরমে শাসকের সংঘাত