Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক, রাত থেকে শহরে মৃত্যু ৫ শিশুর, বাদ গেল না ছ’মাস বয়সিও
Kolkata News: অ্য়াডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় আরও ৫ শিশুর মৃত্যু। গতকাল রাত থেকে আজ সকালের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৫ শিশুর।
![Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক, রাত থেকে শহরে মৃত্যু ৫ শিশুর, বাদ গেল না ছ’মাস বয়সিও Amid Adenoviruses peak in Kolkata 5 children dead since Monday night several suspected cases Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক, রাত থেকে শহরে মৃত্যু ৫ শিশুর, বাদ গেল না ছ’মাস বয়সিও](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2023/02/28/01aba933d58d25ca3c528deab0ded33b1677577868320338_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সন্দীপ সরকার, কলকাতা: অ্যাডিনোভাইরাসকে (Adenoviruses) ঘিরে আতঙ্ক শহর কলকাতায় (Kolkata News)। আর তার মধ্যেই আরও উদ্বেগের খবর সামনে এল। সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকালে পর্যন্তই পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে বিসি রায় হাসপাতালেই (BC Roy Hospital) মারা গিয়েছে চার শিশু। কলকাতা মেডিক্য়াল কলেজের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে ভর্তি দুই শিশু মারা গিয়েছে (Calcutta Medical College)।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকালে পর্যন্তই পাঁচ শিশুর মৃত্যু
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিক্যালে ভর্তি দুই শিশুরই নিউমোনিয়া ছিল। তাদের মধ্যে মধ্যমগ্রাম থেকে আসা শিশুটির বয়স ছিল মাত্র ছয় মাস। ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল তাকে। অ্যাডিনোভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। বাকি চার জনের নিউমোনিয়া ছিল। তাদের অ্য়াডিনোভাইরাসের রিপোর্ট এখনও আসেনি।
মৃত শিশুদের মধ্যে একজন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা। জ্বর-শ্বাসকষ্ট থাকায় তাকে ভর্তি করা হয় মেডিক্যাল কলেজে। বিসি রায় হাসপাতালের তিন শিশুই নিউমোনিয়ায় ভুগছিল। এ নিয়ে গত তিন দিনে শহর কলকাতায় প্রাণ হারাল ১০ শিশু। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই শহরবাসীকে সতর্ক করতে শুরু করেছেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: Adenoviruses: অ্যাডিনো ঘিরে বাড়ছে আতঙ্ক, রাত থেকে শহরে মৃত্যু ৫ শিশুর, বাদ গেল না ছ’মাস বয়সিও
গতকাল রাত থেকে যে পাঁচ শিশু মারা গিয়েছে, তাদের প্রত্যেকের শ্বাসকষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছে। জ্বরও ছিল গায়ে। সেই অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে দেখা যায়, নিউমোনিয়ায় কাবু হয়ে গিয়েছে ফুসফুসও। মধ্যমগ্রামের শিশুটির অ্যাডিনোভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার মৃত্যুর শংসাপত্রে অ্যাডিনোর উল্লেখ রয়েছে। আগে থেকে তার হৃদযন্ত্রে ফুটোও ছিল বলে জানা গিয়েছে। বছর দেড়েকের অন্য শিশুটির অ্যাডিনো রিপোর্ট এখনও আসেনি। তার মৃত্য়ুর শংসাপত্রে কারণ হিসেবে লেখা রয়েছে নিউমোনিয়া। স্বাস্থ্যভবন থেকে গতকালই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে জেলা থেকে রেফার কমে।
প্রত্যেকের শ্বাসকষ্ট ছিল বলে জানা গিয়েছে
অন্য দিকে, শিশুদের অসুস্থতা নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরে। কারণ এই মুহূর্তে কলকাতা মেডিক্যালের ১২০টি শিশুশয্যার প্রত্যেকটি ভর্তি রয়েছে। ভর্তি রয়েছে সেখানকার ছয়টি ভেন্টিলেটর। ২০টি আইসিইউ-ও ভর্তি। নতুন করে এই মুহূর্তে সেখানে শিশুভর্তির ব্যবস্থা নেই। এ দিন বিজেপি-র একটি প্রতিনিধি দল বিসি রায় হাসপাতালেও যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা। সেখানে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ৮০ শিশু। সবমিলিয়ে ভর্তি শিশুর সংখ্যা প্রায় ৫০০। শয্যর অভাবে মেডিক্যালের মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাবে একসঙ্গে একাধিক শিশুকে রাখা হয়েছে।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)