Cattle Smuggling Case: গরুপাচারের টাকা কোথায় খাটানো হয়, জানতে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের ব্যবসায়ীদের তলব
Anubrata Mandal: আরও হেফাজতের মেয়াদ বেড়েছে অনুব্রতর। শিকড়ে পৌঁছতে দফায় দফায় তাঁর ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ গোয়েন্দাদের।

সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: কত জায়গায় খেটেছে গরুপাচারের বিপুল টাকা (Cattle Smuggling Case), কার কার হাত ঘুরেছে, তা জানতে এ বার সিবিআই নজরে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। সোমবার হাজিরা দিতে বীরভূম তৃণমূল সভাপতির ঘনিষ্ঠ তিন ব্যবসায়ীকে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।
সিবিআই নজরে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা
সূত্রের খবর, ওই তিনজনই কাপড় ও খাদান ব্যবসায় যুক্ত। সোমবার সকাল ১১টার মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়েছে তাঁদের। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে জেরা করেই ওই তিন ব্যবসায়ীর নাম পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, বীরভূমের ওই তিনজনের ব্যবসায় গরুপাচারের টাকা খাটানো হয়েছে।
এ দিকে, শুক্রবার গরুপাচার মামলায় ফের জেল হেফাজতে পাঠানো হয় অনুব্রতকে। যদিও জামিনের আবেদনও করেননি তাঁর আইনজীবী। অন্য দিকে, এ দিন সিবিআই-এর জমা দেওয়া কেস ডায়েরি দেখে চরম বিস্ময়প্রকাশ করেন আসানসোলের সিবিআই আদালতের বিচারক। এ দিন এজলাসে শুনানির পর অনুগামীদের সঙ্গে কথাও বলেন অনুব্রত।
শুক্রবার ফের আসানসোল আদালতে তোলা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল সভাপতিকে। অন্যদিকে, দিল্লির তিহার জেল থেকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। শুনানির শুরুতে বোলপুরের ভোলে ব্যোম রাইস মিলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, তা ডি-ফ্রিজ করার আবেদন জানান অনুব্রতর আইনজীবী। অনুব্রতর যে মোবাইল ফোনগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি ফেরত পাওয়া যাবে কিনা, তাও আদালতের কাছে জানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: TET 2022 : টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য আগামীকাল কোন কোন রুটে কখন স্পেশ্যাল ট্রেন? দেখে নিন সময়সূচি
সেকথা শুনে বিচারক সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারের কাছে জানতে চান, অনুব্রতর বাজেয়াপ্ত করা মোবাইলগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার জানান, মোবাইলগুলির পরীক্ষা চলছে। এই মুহূর্তে সেগুলি ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
এর পর বেলা ১২টা নাগাদ, দিল্লির তিহার জেলে বন্দি অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ভার্চুয়ালি হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে দেখে জিজ্ঞাসা করেন, দাড়ি কাটেননি কেন? উত্তরে সায়গল জানান, তিনি অসুস্থ ছিলেন। বিচারক ফের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর কী হয়েছিল? সায়গল জানান, তাঁর শরীর খারাপ ছিল। এর পর জেলে তাঁকে কম্বল দেওয়া কিনা, জিজ্ঞেস করেন। উত্তরে সম্মতি জানান সায়গল।
অনুব্রতর হেফাজতের মেয়াদ আরও বাড়িয়েছে আদালত
তাতে সিবিআই-এর কাছে কেস ডায়েরি চান বিচারক। কেস ডায়েরি দেখে বিস্ময়প্রকাশ করেন বিচারক বলেন, ২০ বছরের কর্মজীবনে তিনি এমন জিনিস দেখেনোনি এবং শোনেনওনি। এর পরই বিচারক অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।






















