Anubrata Mandal : স্বাস্থ্য সাথীর জন্য আবেদনের তথ্য হাতিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট, ঘুরপথে অনুব্রত-র কাছে টাকা! বিস্ফোরক দাবি CBI-র
Cow Smuggling Case : সিবিআইয়ের অভিযোগ ভুয়ো ১১৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যেত অন্য ৪টি অ্যাকাউন্টে, আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে।
আবির দত্ত, আসানসোল : স্বাস্থ্য সাথীর জন্য জমা আবেদনের তথ্য ব্যবহার করে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট! সেখান থেকে ঘুরপথে কালো টাকা সাদা! টিপ সই করেন এমন লোকজনের নামেও ভুয়ো অ্যাকাউন্ট! আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই ঘুরপথে অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে টাকা! গরুপাচারকাণ্ডে জেলে থাকা তৃণণূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) বিরুদ্ধে তাঁকে জেলবন্দি রাখার যুক্তি হিসেবে আদালতে এমনই বিস্ফোরক দাবি পেশ করল সিবিআই।
জেলেই অনুব্রত
গরুপাচারকাণ্ডে (Cow Smuggling Case) আসানসোল আদালতে শুনানিতে শুক্রবার জামিনের আবেদনই করা হয়নি অনুব্রত মণ্ডলের তরফে। সিবিআই তাঁদের একাধিক বিস্ফোরক দাবি পেশের পর বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির জেল-নিবাসই দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে। গরুপাচারকাণ্ডে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি জেলে গিয়ে সিবিআইকে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করার ছাড়পত্রও দিয়েছে আদালত।
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তথ্য
পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত সায়গল হোসেনকে (Saigal Hossain) তিহাড় জেলে গিয়ে জেরার অনুমতিও আসানসোল আদালতের (Asansol Court)। এদিন শুনানিতে গরুপাচার মামলায় আদালতে বিস্ফোরক একাধিক দাবি পেশ করে সিবিআই। তারা ১১৫টি নতুন অ্যাকাউন্টের তথ্য আদালতে পেশ করে। এর মধ্যে ১২জন টিপসই করেছেন বলে জানিয়েছেন বলেও জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাদের আরও অভিযোগ, এই ১১৫টি অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যেত অন্য ৪টি অ্যাকাউন্টে, আর সেই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা অনুব্রতর অ্যাকাউন্টে যেত বলে দাবি সিবিআইয়ের।
স্বাস্থ্য সাথীর তথ্য হাতিয়ে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট !
কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, রাজীব ভট্টাচার্যের অ্যাকাউন্টেও এখান থেকে টাকা যেত। কোভিড কালে মাত্র ২দিনে এই অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার জানিয়েছেন তিনি শুধু সই করেছেন। যার পরই ভুয়ো অ্যাকাউন্ট যাদের নামে তাদের গোপন জবানবন্দি নিতে নির্দেশ আদালতের। আদালতে যারপরই আরও এক বিস্ফোরক দাবি সিবিআইয়ের (CBI), তারা জানায়, স্বাস্থ্য সাথীর জন্য জমা পড়া তথ্যই ব্যবহার হয়েছে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরিতে।
গতকাল বীরভূমে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান, কাউন্সিলর-সহ অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, লটারির মাধ্যমে গরুপাচারের কালো টাকা সাদা করা হয়েছিল কি না, মূলত তাই জানতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। সেইসমস্ত তথ্য ছাড়াও বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেনামি অ্যাকাউন্ট এবং গাড়ি ব্যবহার সংক্রান্ত নথিও আজ আদালতে পেশ করে সিবিআই।
আরও পড়ুন- কুন্তলের বাড়িতে ২৫০ OMR! ব্যাঙ্কে ৬ কোটি! টাকায় ভাগ কার কার?