(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Anubrata Mandal : আয়-ব্যয়ের হিসেব সংক্রান্ত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা
CBI : অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনও ফরেন ট্রেডিং হয়েছে কিনা, তা জানতে ২টি ব্যাঙ্ককেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : গরুপাচার মামলায় আয়-ব্যয়ের হিসেব সংক্রান্ত নথি সিবিআইয়ের কাছে জমা দিলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। জানা গিয়েছে, গতকাল নিজাম প্যালেসে আইনজীবী মারফৎ নথি পাঠান অনব্রত-কন্যা। কিছুদিন আগেই সুকন্যার কাছে আয়-ব্যায়ের হিসেব সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠায় সিবিআই (CBI)। বেশ কয়েকটি সংস্থা ও একটি রাইস মিলের ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে সুকন্যা মণ্ডলের। সেই কারণেই আয়-ব্যয়ের নথি খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই।
জিজ্ঞাসাবাদের পর নোটিস
বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা সুকন্যা মণ্ডলকে বাড়িতে গিয়ে নোটিস ধরায় CBI। সুকন্যা মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট, ব্যবসা ও কোম্পানি সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়। এর আগে নথি চাওয়া সত্ত্বেও সুকন্যা তা জমা দেননি বলেই অভিযোগ উঠেছিল। সুকন্যা মণ্ডলের ব্যবসার টাকার উত্স কী, তা জানার জন্যই নথি চাওয়া হয়।
নজরে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন
শুধু আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিই নয়। CBI’এর গোয়েন্দাদের নজরে বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যার কোম্পানির অ্যাকাউন্টে কোনও ফরেন ট্রেডিং হয়েছে কিনা, তা জানতে ২টি ব্যাঙ্ককেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। বলে সিবিআই সূত্রে দাবি।
আগে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সিবিআই (CBI) সূত্রে দাবি জিজ্ঞাসাবাদের সময় বেশিরভাগ প্রশ্নের উত্তরেই অনুব্রত কন্যা দাবি করেছেন, যা জানার তা জানেন হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। আর এর বাইরে একাধিক প্রশ্নের উত্তরই হ্যাঁ, কিংবা না’এ দেন অনুব্রত কন্যা । এর আগে শুক্রবারই বোলপুরের (Bolpur) অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পে (CBI Camp) অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারিকেও (Manish Kothari) জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ।
অনুব্রত-র স্বস্তি
কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি অনুব্রত মণ্ডলের। স্বস্তিতে বোলপুর পুরসভাও। বিল্ডিং প্ল্যান পাসের জন্য ‘অনুদান’ সংক্রান্ত মামলায় হস্তক্ষেপ করল না হাইকোর্ট। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্তের দাবিকে মান্যতা দিল না আদালত। ‘মামলার পক্ষে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত নথি নেই’, পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। ‘নথির জন্য পুরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে আবেদন করতে পারবেন মামলাকারী’, ‘আবেদন করলে মামলাকারীকে তথ্য দেবেন পুরসভার চেয়ারপার্সন’, ‘তারপর চাইলে আবার আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন মামলাকারী’। নির্দেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির।