Anubrata Mandal: বিল্ডিং পাস করাতে লাগে অনুদান! অনুব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগে সিবিআই নয়, জানাল আদালত
Calcutta High Court: বোলপুর পৌরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে গেলে অনুদান দিতে হয়, গোটা চক্রের মাথা অনুব্রত মণ্ডল, এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নির্মাণ নকশার ছাড়পত্রের জন্য অনুদান-মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। স্বস্তিতে বোলপুর পৌরসভাও (Bolpur Municipal Corporation)। এই মুহূর্তে সিবিআই তদন্তের দাবিকে মান্যতা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মামলার পক্ষে এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত নথি নেই।
নির্মাণ নকশায় কাটমানির অভিযোগে আপাতত স্বস্তি অনুব্রতর
বুধবার শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট জানায়, প্রয়োজনীয় নথির জন্য বোলপুর পুরসভার চেয়ারপার্সনের কাছে আবেদন জানাতে পারেন মামলাকারী। আবেদন জানালে মামলাকারীকে নথি দেবে বোলপুর পৌরসভা। প্রয়োজন হলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন মামলাকারী। বুধবার এমনই জানালেন হাইকোর্টের বিচারপতি।
এ দিন কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, এই মুহূর্তে অভিযোগের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করবে না তারা। মামলায় কোনও রকম হস্তক্ষেপ করবেন না বিচারপতিরা। কারণ অভিযোগের সপক্ষে একেবারে গ্রহণযোগ্য কোনও যুক্তি বা নথি তুলে ধরা হয়নি আদালতের সামনে। তাই আপাতত এই মামলায় কোনও নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে না। সিবিআই-এর হাতে মামলা হস্তান্তরের দাবিতেও সাড়া দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে আদালত।
গরুপাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। সেই আবহেই তাঁর বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ সামনে আসে। বোলপুর পৌরসভায় বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে গেলে অনুদান দিতে হয়, গোটা চক্রের মাথা অনুব্রত মণ্ডল, এই অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।
মামলাকারী দাবি করেন, বিল্ডিং প্ল্যান পাস করাতে গেলে লাগে অনুদান। গোটা চক্রের মাথায় ছিলেন অনুব্রত মণ্ড। বোলপুর পৌরসভার চেয়ারপার্সন এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠে কাটমানি নেওয়ার। বলা হয়, "পুৌরসভার বিল ছাপিয়ে নেওয়া হত টাকা। কাটমানি না পেলে দেওয়া হত না বিল্ডিং প্ল্যান।"
যথাযোগ্য যুক্তি, প্রমাণ নেই বলে জানিয়ে মামলা খারিজ
এর পাল্টা বোলপুর পৌরসভার তরফে জানানো হয়, পৌরসভার খাতায় সব হিসেব রয়েছে। অবৈধ ভাবে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি। গোটা প্রক্রিয়াটাই অনলাইন মাধ্যমে হয়েছে। তাই নথি দেখলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। অভিযোগের ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে রাজ্য। বলা হয়, এমনিতে অনুদান নেওয়া বেআইনি নয়। পৌরসভা অনুদান নিয়ে থাকে। বাজেটেই তার সংস্থান থাকে। এতে অবৈধ কী আছে? সেই মামলার শুনানিতেই এ দিন স্বস্তি পেলেন অনুব্রত।