Anubrata Mondal : ফিরহাদ-মদন-সুব্রতদের ছাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর সটান নিজাম প্যালেসে পৌঁছানো, অনুব্রত মামলা CBI-অস্ত্র সেই প্রসঙ্গ
Anubrata Mondal Cow Smuggling Case : বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরই, নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই।
কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডলের ( Anubrata Mondal ) জামিনের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল, তাঁরই দলের নেতার মন্তব্য। ফিরহাদ হাকিমের বাঘ তকমাকে আদালতে তাঁর বিরুদ্ধেই হাতিয়ার করল সিবিআই। আর এই ঘটনাই উস্কে দিয়েছে অনেক পুরনো স্মৃতি। যখন তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্ব খোলাখুলি, বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত দলীয় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আর সেই নজিরকেই আদালতে হাতিয়ার করেছিল তদন্তকারী সংস্থা ( CBI ) ।
নিজাম প্যালেসে মুখ্যমন্ত্রী
গতবছর বিধানসভা ভোটের ( Bengal Assembly Election 2021 ) ফল বেরনোর পরই, নারদ-মামলায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, , মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। সেদিন নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে পৌঁছে গেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ( Mamata Banerjee ) । সেই ঘটনাকেই হাতিয়ার করেই আদালতে প্রভাবশালী তত্ত্বে জোর দিয়েছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের ( CBI ) আইজীবী আদালতে বলেছিলেন, ' নিজাম প্যালেস ( Nizam Palace ) ঘেরাও হয়েছে, জোর করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঢুকে তাঁকে গ্রেফতারের কথা বলেছেন। নিঃশর্তভাবে অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। আইনমন্ত্রী নিজে নিম্ন আদালতে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষকে নিয়ে। এতে বিচারকের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। এঁরা প্রভাবশালী, আগামীদিনে কাউকে গ্রেফতার করা হলে চাপ তৈরি করা হতে পারে। ' পরে এই মামলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করার আর্জিও জানায় সিবিআই। এর আগে সারদাকাণ্ডে মদন মিত্রর গ্রেফতারির পর, কখনও তার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কখনও পথে নামিয়েছিলেন খেলোয়াড়দের। এসব ঘটনাকে হাতিয়ার করেই, সিবিআই বারবার প্রভাবশালী-তত্ত্বে মদন মিত্রর জামিনের বিরোধিতা করেছিল।
আদালতও একাধিকবার সেই তত্ত্বে সিলমোহর দিয়েছিল। একবার নিম্ন আদালতের বিচারক, মদন মিত্রর জামিন খারিজ করতে গিয়ে বলেছিলেন, অভিযুক্ত অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। মদন মিত্রর আইনজীবী যে যুক্তি দিচ্ছেন, তা তিনি সাধারণ শুনানিতে বলতে পারেন। কিন্তু, এই যুক্তি জামিনের ক্ষেত্রে খাটে না।
মদন মিত্র নিম্ন আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর, খোলাখুলি তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলের তৎকালীন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। 2016 র ৯ সেপ্টেম্বর তিনি বলেন , ' মদনের মতো সমাজসেবীকে ৬২৯দিন জেলে থাকতে হল। তাও দলের নেতা হিসেবে দলের সঙ্গেই ছিলেন, আর্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন'
এরপরই নিম্ন আদালতের জামিনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যায় সিবিআই। তারা হাতিয়ার করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্যকেই। এবার অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষেত্রেও, প্রভাবশালী তত্ত্ব জোরাল করতে, ফিরহাদ হাকিমের বাঘ-মন্তব্যকে হাতিয়ার করল সিবিআই। শুক্রবারও অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দেয়নি আদালত। তাঁকে আরও ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।