Anubrata Mondal: আদালতের পথে অনুব্রত, ২০১৪-র আউলিয়া সংঘর্ষের ঘটনায় কোর্টে তোলার কথা বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে
Paschim Bardhaman:আসানসোল জেল থেকে বার করা হল বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুবরাজপুর আদালতে। পুলিশের ৫টি গাড়ির কনভয়ে রওনা দিলেন অনুব্রত।
প্রকাশ সিনহা ও কৌশিক ঘোষ, পশ্চিম বর্ধমান: আসানসোল (asansol) জেল (jail) থেকে বার করা হল বীরভূমের (birbhum) জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে (anubrata mondal)। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুবরাজপুর আদালতে (dubrajpur court)। পুলিশের ৫টি গাড়ির কনভয়ে রওনা দিলেন অনুব্রত। ২০১৪-র পুরনো মামলায় (old case) আজ দুবরাজপুর আদালতে পেশ করার কথা তাঁকে। এদিন সকালেই আসানসোল জেলে হাজির হন পদস্থ আধিকারিকরা। নিরাপত্তার জন্য আনা হয় কমব্যাট ফোর্স।
কী মামলা?
২০১৪ সালের ৩ জুন দুবরাজপুরের ৩ জুন দুবরাজপুরের আউলিয়া গ্রামে সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় বোমাবাজিতে অমিত চক্রবর্তী নামে এক এসআই জখম হন। প্রায় ৫০ দিন পরে মৃত্যু হয় তাঁর। প্রথমে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। ২১ জনকে গ্রেফতার করা হলেও পরে সকলেই বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। শোনা যাচ্ছে পুরনো সেই মামলাতেই নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ে যাতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির নাম রয়েছে। সূত্রের আরও খবর, ওই ঘটনায় অনুব্রতর প্রত্যক্ষ যোগের অভিযোগ থাকলেও পুলিশ তদন্ত করেনি বলে শোনা যাচ্ছে। তবে আপাতত ৪৬ জনের বিরুদ্ধে নতুন করে এফআইআর হয়েছে। সেই নতুন মামলাতেই দুবরাজপুর আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুব্রতকে। আজ শুনানি রয়েছে সেখানে। সূত্রের খবর, সেখানে অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আর্জি জানাবে রাজ্য পুলিশ।
গরু পাচার কাণ্ডে...
অন্য দিকে গরু পাচার কাণ্ডেও ধোপে টিকল না সওয়াল। সায়গল হোসেনের পর এবার দিল্লি যেতে হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলকে। গত কাল তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ছাড়পত্র পায় ED। দিল্লির আদালতে বড় ধাক্কা খান বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। তাঁর নামে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করেছে দিল্লির আদালত। বর্তমানে আসানসোল জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট সেখানেই জমা দেবে ইডি। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আদালতে অনুব্রত মণ্ডলকে পেশ করা হবে। তবে চাইলে, দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টেও আবেদন করতে পারেন অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে একইভাবে দিল্লিতে আনা হয়েছিল। দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে নিম্ন আদালতের (রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট) রায় বহাল থাকে।
আরও পড়ুন:ভোটের দাবিতে অনড় থেকেও ১২ দিন পর অনশন প্রত্যাহার মেডিক্যালের ছাত্রদের