Anupam Hazra: 'কেষ্টবাবু নীলকণ্ঠ'! দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা অনুপম হাজরার
বাকিরা সেই পথেই এগোচ্ছেন, তালিকা আরও লম্বা হবে, দাবি বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার।
কলকাতা: কেষ্টবাবু নীলকণ্ঠ! দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে খোঁচা অনুপম হাজরার। 'চুরি করল সবাই আর জেলে গেলেন উনি। যদিও ওনার অনুপ্রেরণাতেই চুরি', কটাক্ষ অনুপমের। 'অনুব্রত তিহাড়ে গেলে বাকিরা অন্তত আসানসোল বা প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে পারেন। 'অনুব্রতর গ্রেফতারির আগে ৭২ জনের তালিকা দিয়েছিলাম। তালিকা অনুযায়ী কিছু লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে'। বাকিরা সেই পথেই এগোচ্ছেন, তালিকা আরও লম্বা হবে, দাবি বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার।
আগে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন অনুপম। গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) বীরভূমের (Birbhum News) তৃণমূল সভাপতি গ্রেফতার হওয়ার পরই সরব হন বিজেপি (BJP) নেতা অনুপম হাজরা (Anupam Hazra)। খেলা সবে শুরু হল বলে দাবি করেন তিনি (Anubrata Mandal Arrested)। একই সঙ্গে ওই দিনটি বীরভূমের মানুষের জন্য ‘স্বাধীনতা দিবস’ বলেও মন্তব্য় করেন অনুপম।
বোলপুরের বাড়ি থেকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিবিআই)। তার পরই জায়গায় জায়গায় নকুলদানা, গুড়-বাতাসা বিলির ছবি উঠে আসে সংবাদমাধ্যমে। নির্বাচনী মরসুমে নকুলদানার কথা উঠে এসেছিল অনুব্রতর মুখেই। সেই সূত্র ধরেই তাঁর গ্রেফতারির পর নকুলদানা বিলি করতে নেমে পড়েন বিরোধীরা।
সংবাদমাধ্যমে তা নিয়ে একরকম সন্তুষ্টি প্রকাশই করতে দেখা যায় অনুপমকে। তিনি বলেছিলেন, ‘দিদিমণি তো বিভিন্ন ইস্যুতে কারণে অকারণে নানা দিবস ঘোষণা করেন। আজকের দিনটিকে নকুলদানা দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হোক। লোকে মনে রাখবেন। কারণ বীরভূমের মানুষের কাছে আজ স্বাধীনতা দিবস।’
সিবিআই-এর হাতে অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অনুপম বলেছিলেন, ‘রাজনীতির সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্তই নন যাঁরা, সেই সমস্ত মানুষও আজ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিষ্টি বিতরণ করছেন। এ থেকে বোঝা যায়, সাধারণ মানুষ কতটা চাপে ছিলেন। এককথায় বলা যায়, খেলা শুরু হল সবে। সবে ক্যাপ্টেনের উইকেট পড়েছে। চোরে ভরে গিয়েছে। দেখবেন বীরভূম খালি হয়ে যাবে।’
এর আগেও তৃণমূলের ভোট লুঠেরাদের বেঁধে পেটানোর দাওয়াই দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিতে দেরি করেনি তৃণমূলও। পঞ্চায়েত ভোটে লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ছবি দেখেছে বাংলা! সংঘর্ষ থেকে বোমাবাজি, খুন, বাদ যায়নি কিছুই! কিন্তু ভোটপর্ব মিটে গেলেও, বঙ্গ-রাজনীতিতে হুমকি-হুঁশিয়ারির ফোয়ারা যেন থামছেই না!! এবার তৃণমূল কর্মীদের পোস্টে বেঁধে মারধরের দাওয়াই দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক।