Baghajatin Building Collapse: 'ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফাচ্ছে কেন,' বহুতল বিপর্যয়ে সুকান্তকে তোপ ফিরহাদের
Kolkata News: বিপদ বাড়ছে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, আরও হেলে পড়ছে বহুতল। ফলে আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত।
কলকাতা: বাঘাযতীনে বহুতল হেলে পড়ার দায় কার? তা নিয়ে এখন চরমে চাপানউতোর। অভিযোগ, তিনতলার অনুমতি থাকলেও, নির্মাণ হয়েছিল চারতলা। এই আবহে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেন, "সুকান্তর তো তিনটে, ছাগলের তিন নম্বর বা্চচার মতো লাফাচ্ছে কেন!''
বহুতল বিপর্যয়ে সুকান্তকে তোপ ফিরহাদের: বিপদ বাড়ছে বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনির বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, আরও হেলে পড়ছে বহুতল। ফলে আশেপাশের বাসিন্দারা আতঙ্কিত। এদিন এপ্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, কলকাতা পুরসভার আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন অবৈধ নির্মাণ রয়েছে। অবৈধ নির্মাণের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর কাউন্সিলররা টাকা নেন। এত বড় একটা বিল্ডিং হয়ে গিয়েছে, আর সেখানকার কাউন্সিলররা জানেন না! আমরা ঘাসে মুখ দিয়ে চলি! মুখ্যমন্ত্রীর উচিত কাউন্সিলরকে কান ধরে নিয়ে এসে জেলে ঢোকানো।'' যার পাল্টা জবাব দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "সুকান্ত বাাবুর তো তিনটে। আমি ছেড়ে দিলেও উনি তো সংখ্যাতে কখনও মেয়র হতে পারবেন না। উনি ছাগলের থার্ড বাচ্চার মতো লাফিয়ে লাভ কী আছে। আপনাকে তো কাউন্সিলরের সংখ্যা বাড়াতে হবে।''
বাঘাযতীনের বহুতল বিপর্যয়ে রাতারাতি আশ্রয়হীন বহু পরিবার। কিন্তু, এর দায় কার? এই বহুতল হেলে পড়ার পর সামনে আসছে চাঞ্চল্য়কর সব তথ্য়। অভিযোগ, ৩ তলা অবধি তৈরির অনুমতি থাকলেও, চারতলা অবধি নির্মাণ করা হয়। যা নিয়ে স্থানীয়রা আঙুল তুলেছেন এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলরের দিকে। যদিও, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর আবার দাবি করছেন, তিনি জানেনই না এই বহুতল কবে তৈরি হয়েছে। কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মিতালি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমরা নিজেরাই জানি না, কবে তৈরি হয়েছিল। কেউ বলছে ৫ বছর, কেউ বলছে ৬ বছর। কেউ বলছে ৮ বছর।''
শিকড় ওপড়ানো গাছের মতো, চারতলা বহুতলটা হেলতে হেলতে এখন গিয়ে পড়েছে পাশের একতলা বাড়ির ওপর। এই হেলে পড়া বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায় এখনও অধরা। বুধবারও বাঘাযতীন বাজার এলাকায় তাঁর বাড়িতে পৌঁছেছিল এবিপি আনন্দ। কিন্তু, সেখানে কারও দেখা মেলেনি। বাঘাযতীন বাজার এলাকায় প্রোমোটারের দোকানেও গিয়ে দেখা যায় সেখানে তালা ঝুলছে। ফলে দায় ঠেলাঠেলির মধ্য়ে প্রশ্ন হল, যে মানুষগুলো রাতারাতি আশ্রয়হীন হয়ে পড়ল, তাঁরা এখন কী করবেন?
আরও পড়ুন: East Midnapore School: প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষকদের ঝামেলার জের, ছাত্রশূন্য হওয়ার মুখে স্কুল