Bangla Bandh 2024: শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে শাটার নামানোর চেষ্টা, গ্রেফতার বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী !
Kolkata News: রাস্তার একদিকে যখন মিছিল করে যাচ্ছেন বিজেপি সমর্থকরা, উল্টোদিকে তখন হাঁটতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের।
ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা : বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ছে। সকাল থেকে বনধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এবার শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনে শাটার নামানোর চেষ্টা করলেন বিক্ষোভকারীরা। তার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পরে মেট্রো স্টেশনের শাটার খুলে দেয় তারা।
কী ঘটনা ?
এদিন সাতসকালেই সাধারণ মানুষ যাঁরা শ্যামবাজারে মেট্রোয় উঠতে যাচ্ছিলেন তাঁদের আটকাচ্ছিলেন বিক্ষোভকারীরা। তখনই পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ধস্তাধস্তির ছবি ধরা পড়ে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সকাল ৮টা। কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার হওয়ার পর, শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে মিছিল করতে দেখা যায় আরও কয়েকজনকে। এক বিক্ষোভকারী বলেন, 'বাংলা বনধ সফল করার জন্য আমরা রাস্তায় নেমেছি।'
রাস্তার একদিকে যখন মিছিল করে যাচ্ছেন বিজেপি সমর্থকরা, উল্টোদিকে তখন হাঁটতে দেখা যায় পুলিশকর্মীদের। কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কোনওভাবে যদি দোকান বন্ধ করা বা পরিষেবা স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়, সেক্ষেত্রে তাঁদের গ্রেফতার করা হবে।
তুলকালাম সোনারপুর স্টেশনে !
বিজেপির বন্ধে তুলকালাম সোনারপুর স্টেশনে। রেল অবরোধ করতে ট্রেনের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। আরপিএফ, জিআরপি ও রাজ্য পুলিশ যৌথ ভাবে অবরোধ তুলতে গেলে ব্যাপক অশান্তি বেধে যায়। ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরেও ঝামেলা মেটেনি। থানার মধ্যেও বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। এরপরে সোনারপুর স্টেশনে রেল লাইনের ওপর শুয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীদের একাংশ। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে চম্পাহাটি লোকাল সহ একাধিক ট্রেন।
গতকাল নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি হয়। এরপর আজ বিজেপি ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডেকেছে। সকাল ৬টা থেকে বনধ শুরু হয়েছে। অত্যাচারের প্রতিবাদে সফল করুন বনধ, আহ্বান জানাচ্ছে বিজেপি। যদিও 'কোনও বন্ধ হবে না, খোলা থাকবে সব কিছু', বলে গতকালই বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফাও দাবি করেছেন। 'গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সুপারিশ করুন রাজ্যপাল। ভোট দিয়ে মানুষ পছন্দের সরকার পছন্দ করুক', মন্তব্য বিরোধী দলনেতার। এদিকে নবান্ন অভিযানে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরব রাজ্যপাল।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।