Elephant Attack: বড়জোড়ায় হাতির হামলায় আবারও মৃত্যু, ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা, কাঠগড়ায় বন দফতর
Bankura News: বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দি এলাকার ঘটনা।
প্রসূন চক্রবর্তী, বড়জোড়া: হাতির হানায় এক ব্যক্তির মৃত্যুতে উত্তেজনা বাঁকুড়ায়। বিধায়ককে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয়রা। অসন্তোষ শোনা গেল বন দফতরের ভূমিকা নিয়েও। বিধায়ক নিজেও কাঠগড়ায় তুললেন বন দফতরকে। সব মিলিয়ে উত্তেজনা ছড়াল বড়জোড়ায়। লাগাতার হাতির হামলা বেড়ে চললেও বন দফতর এ ব্যাপারে নিস্পৃহ, কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। (Elephant Attack)
বাঁকুড়া জেলার বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দি এলাকার ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে, নিজের বাড়ির সামনেই হাতির হামলার শিকার হন স্থানীয় বাসিন্দা শম্ভুনাথ মণ্ডল। ঘুম থেকে উঠে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় দু'টি হাতির সামনে পড়ে যান শম্ভুনাথ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই একটি হাতি শুঁড়ে পাকিয়ে শূন্যে তুলে ধরে তাঁকে। তার পর সজোরে আছাড় মারে মাটিতে। তার পর পা দিয়ে পিষেও দেয়, তাতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শম্ভুনাথের। (Bankura News)
সাতসকালে হাতির হামলায় শম্ভুনাথের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বড়জোড়ার বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলেও জানান। বিধায়ককে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দিতে দেরি করেননি গ্রামের বাসিন্দারাও। বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ জানান সকলে। বন দফতরকে কাঠগড়ায় তোলেন বিধায়ক নিজেও।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বাংলায় ‘সম্প্রীতি মিছিল’, নবান্ন থেকে ঘোষণা মমতার
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বড়জোড়া ব্লকের গোপবান্দি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে হাতির দল রয়েছে। মাঝে মধ্যেই দলছুট হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে তারা। তার পর চলে তাণ্ডব। প্রায়শই এমন ঘটনায় তটস্থ স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, জঙ্গলে থাকা হাতির দল বনকর্মীদের নজরদারির ঘেরাটোপে থাকে। তার পরও মাঝে মধ্যেই দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে এবং দাপিয়ে বেড়ায়।
বিধায়ক অলোক জানিয়েছেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই হাতির তাণ্ডব চলছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তাতে, পাশাপাশি ঘটে চলেছে প্রাণহানির ঘটনাও। কিন্তু সব দেখেও, বন দফতর হাতিগুলিকে অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না। বিধায়কের অভিযোগ, কৃষকরা ক্ষয়ক্ষতি এবং ক্ষতিপূরণের আবেদন জানাতে গেলে, তাঁদেরও হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। বন দফতরের তরফে এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও পর্যন্ত।