(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Bankura News: মাইক হাতে মঞ্চ কাঁপালেন IAS! গানে বুঁদ শ্রোতারা
Bishnupur Mela 2023: রাশভারী প্রশাসনিক আধিকারিক নন, গান গাইতে উঠলে একেবারে পেশাদার শিল্পী হয়ে যান তিনি। গানের পর থামে না হাততালির আওয়াজ।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: চেয়ারে বসলে তিনি কড়া প্রশাসক। কড়া হাতে সামলান গোটা মহকুমার যাবতীয় সরকারি দায়-দায়িত্ব। কিন্তু মাইক হাতে নিলে একেবারেই ভিন্ন রূপ। একের পর এক গানে মাত করে দিতে পারেন ভিড়ে ঠাসা মঞ্চের দর্শকদের। তাঁর এই রূপ আগে দেখেছে খাতড়া (Khatra)। এবার দেখল গোটা বিষ্ণুপুর। তিনি খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Neha Banerjee)।
বিষ্ণুপুর শহরে চলছে বিষ্ণুপুর মেলা (Bishnupur Mela 2023)। এক একদিন এক একরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে। সেই মঞ্চ থেকেই একের পর এক গান গাইলেন খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় আর শ্রোতাদের মাতিয়ে দিলেন। বলিউডের দুটি সুপারহিট গান আর মহীনের ঘোড়াগুলির 'পৃথিবীটা নাকি ছোটো হতে হতে...' গেয়ে যখন থামলেন, থামতে চাইছিল না হাততালির বন্য়া। মঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পরেও উপস্থিত শ্রোতাদের হাততালির রেশ থামছিল না।
বিষ্ণুপুর মেলায় প্রতিদিন নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে। উপচে পড়ছে ভিড়। পেশাদার সঙ্গীতশিল্পীর অনুষ্ঠানও হয়েছে। অরুণিতা কাঞ্জিলাল এবং পবনদীপ রাজনের অনুষ্ঠান হয়েছে। গান গেয়েছেন রূপম ইসলাম। এছাড়াও বাংলা ব্যান্ডের অনুষ্ঠানও হয়েছে। বিষ্ণুপুর মেলায় চলছে যাত্রা ও নাট্য অনুষ্ঠানও। কিন্তু নেহা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের গানের অনুষ্ঠানের আমেজই ছিল আলাদা, অন্তত তেমনটাই বলছেন সাধারণ বাসিন্দারা।
প্রশাসনিক আধিকারিকের কথা উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাশভারী কোনও ব্যক্তির ছবি। কিন্তু খাতড়ার মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু একেবারেই আলাদা। মহকুমাশাসকের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলে গানের সময় দেন কীভাবে? এক একান্ত সাক্ষাৎকারে মহকুমাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কলকাতা শহরেই আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। আর পাঁচজন বাঙালির মতো আমিও ছোটোবেলায় গান শিখেছি। তবে ক্লাস টেনের পর আর ধারাবাহিকভাবে এগোনো হয়নি।' কিন্তু প্রশিক্ষণ গতানুগতিক অর্থে না চালিয়ে গেলেও গান ছাড়েননি তিনি। অনুশীলন ছিলই। কারণ গান তাঁর প্যাশন। ছোটবেলায় মায়ের থেকে শিখেছেন। শাস্ত্রীয় ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিমও নিয়েছিলেন। কলেজে পড়াশোনার সময় গান গাইতেন। কলেজের গানের ব্য়ান্ডেও তিনি ছিলেন বলে জানালেন। তারপর পড়াশোনা শেষ করে UPSC-এর প্রস্তুতি। সেই কঠিন পরীক্ষায় সফল হয়ে মুসৌরিতে প্রশিক্ষণে চলে যান তিনি। তখনও ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে গান ছাড়েননি। তিনি বললেন, ' মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীন বেশ কিছু স্টেজ পোগ্রাম করেছি। আর এখানে এসে অনুষ্ঠানে গান করার সুযোগ পেয়ে ভাল লাগছে।' ইদানিং সেই অর্থে প্রতিদিন চর্চার সুযোগ হয় না। কিন্তু এরকম অনুষ্ঠানের জন্য মাঝেমধ্য়েই গানের চর্চা হয় তাঁর।
সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিক না হলে কি সঙ্গীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বললেন, 'এখনও গান শেখা অনেক বাকি। আমি আমার কাজ নিয়ে তৃপ্ত। গানটাকে প্যাশন হিসেবেই রাখতে চাই।'
আরও পড়ুন: 'কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র থেকে BJP-ই জিতবে', শুভেন্দুর নিশানায় I.N.D.I.A