Bankura: বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা ও নির্দল প্রার্থীক শাসকদলে যোগ, জিততেই গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল
উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান, দাবি নির্দল প্রার্থীর। শাসকদলের কটাক্ষ, ভুল বুঝতে পেরেই বিজেপি ছেড়েছেন ওই নেতা।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: নির্দল সদস্য দলে যোগ দেওয়ায়, বাঁকুড়ার ছাতনায় জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েত (Panchayat) দখল করল তৃণমূল (TMC)। টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে ভোটে দাঁড়ান বিজেপির প্রাক্তন বুথ সভাপতি ভূদেব মণ্ডল। জিড়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৭টি আসন। বিজেপি (BJP) ৬, কংগ্রেস ১ এবং নির্দল ১টি আসনে জিতেছে। বিক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা ও নির্দল প্রার্থী শাসকদলে যোগ দেওয়ায় পঞ্চায়েত এবার তৃণমূলের দখলে। উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলে যোগদান, দাবি নির্দল প্রার্থীর। শাসকদলের কটাক্ষ, ভুল বুঝতে পেরেই বিজেপি ছেড়েছেন ওই নেতা। অন্যদিকে, গেরুয়া শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখায় দলের প্রাক্তন বুথ সভাপতিকে এবার টিকিট দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করলেও সংরক্ষণের গেরোয় পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি জায়গায় প্রধান পদ হাতছাড়া হতে চলেছে তৃণমূলের। রামনগর ২ নম্বর ব্লকের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিই জিতেছে তৃণমূল। আর ৪টিতে বিজেপি। তবে বোর্ড গঠন করলেও প্রধান পদ এসসি-র জন্য সংরক্ষিত। তৃণমূলের এসসি প্রার্থী হেরে যাওয়ায় প্রধান হতে চলেছেন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য।
সংরক্ষণের গেরো এমনই যে রামনগর-২ ব্লকের কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল। কিন্তু প্রধান পদে বসতে চলেছেন বিজেপি থেকে জয়ী প্রার্থী। প্রধানের পদটি তফসিলি জাতি সংরক্ষিত। ওই বোর্ডে একমাত্র তফসিলি জাতি প্রার্থী হিসেবে জিতেছেন বিজেপির রথীকান্ত দাস। ফলে এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে তিনিই প্রধান পদে বসতে চলেছেন। রতিকান্তর দাবি, 'আমরাই এবারে বোর্ড দখল করব কারণ বেশ কিছু তৃণমূলের লোকজনরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন।' কাদুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে ১১টিতে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। চারটি আসন পেয়েছে বিজেপি। কাদুয়ার মালঞ্চ ১৩ নম্বর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন বিজেপির রথীকান্তবাবু। তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নির্দল প্রার্থী সৌমেন বরকে ১৭টি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। এই আসনে তৃণমূল তিন নম্বরে চলে গিয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বীণাপানি দাস। যদিও কাদুয়া অঞ্চলের বিদায়ী প্রধান জানান প্রধান পদ সংরক্ষিত হওয়ায় বিজেপির জয়ী প্রার্থীকেই প্রধান হিসেবে মেনে নিতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকে কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই সমস্যায় পড়েছে তৃণমূল। ১৭টি আসনের মধ্যে ৯টি জিতলেও প্রধান পদটি তফশিলি মহিলাদের সংরক্ষিত। শাসকদলের কোনও তফশিলি প্রার্থী জয়ী হননি। তাই ৭টি আসন জিতে প্রধান পদে পাল্লা ভারী বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূল ভাঙিয়ে নিতে পারে এই আশঙ্কায় নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের।