Bankura BJP: গরিবদের কম্বল বিলি করে ভোট চাইলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক, এভাবে মন জয় করা যায় না, কটাক্ষ তৃণমূলের
BJP MLA of Bankura: গরিবদের মধ্যে কম্বল বিলি করে সরাসরি ভোট চাইলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক। এসব করে কোনও লাভ নেই, মানুষ তাদের পাশেই, কটাক্ষ তৃণমূলের। ভোট চেয়ে অন্যায় করেননি, পাল্টা দাবি বিধায়কের।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: উপলক্ষ ছিল গরিবদের মধ্যে কম্বল বিতরণ। কিন্তু, সেখানে সরাসরি ভোট চেয়ে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা! সোমবার সকালে বাঁকুড়া শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে কম্বল বিলি করছিলেন বিজেপি বিধায়ক। এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরও তিনি। কম্বল বিলির পরই ভোটের কথা উঠে আসে তাঁর মুখে। তিনি বলেন, ‘সামনে পুরভোট আসছে। পুরভোটে বিজেপিকে ভোট দিতে হবে, পদ্মফুলে। কোনও তোলাবাজ দলকে নয়।’ একথা বলতে বলতেই কম্বল নিতে আসা একজনের হাতে দলের পতাকা ধরিয়ে দেন বিজেপি বিধায়ক। শুরু হয়ে যায় স্লোগান।
পুরভোটের আগে এভাবে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে, বিজেপি বিধায়কের ভোট চাওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপি-কে আক্রমণ করে বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান শ্যামল সাঁতরা বলেছেন, ‘এখনও ভোটের দিন ঘোষণা হয়নি, তাতে দেখা যাচ্ছে বাঁকুড়ার বিধায়ক উপহার দিয়ে ভোট চাইছেন। বিনিময় প্রথা। এভাবে মানুষের মন জয় করা যায় না। ভোটের রাজনীতি করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। মানুষ আমাদের পাশে।’
গতবার বাঁকুড়া পুরবোর্ড তৃণমূলের দখলে থাকলেও, ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের নিরিখে ২৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৫টিতেই এগিয়ে রয়েছে পদ্ম শিবির। বাকি ৯টিতে এগিয়ে তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে পুরভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই চড়ছে রাজনীতির পারদ।
অন্যদিকে, বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর, এই দুই সাংগঠনিক জেলাতেও সভাপতি বদল করার পর রবিবার একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ-ত্যাগ করেন জেলার চার বিজেপি বিধায়ক। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সোমবার বিজেপির পরিষদীয় দলের ভার্চুয়াল বৈঠকেও অসন্তোষের আঁচ পড়েছে। বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর জেলা সভাপতি বদলের দাবিতে বৈঠক বয়কট করেন বাঁকুড়ার বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা ও কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার।
বিজেপি-কে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, ‘দরজা খুললে সব বিজেপি বিধায়ক চলে আসত তৃণমূলে।’
পাল্টা বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘কে কোথায় বেরিয়ে যাচ্ছে তার গুরুত্ব নেই।’